বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যে টার্গেট দিয়েছে, তা কখনো পূরণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
Advertisement
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতির প্রাণবিন্দু, আমাদের মূল এলাকা যেগুলো আছে সেটা হচ্ছে, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের রিজার্ভ ভালো অবস্থায় আছে। আমি দাবি করবো ভালো।
এসময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, আইএমএফ যে টার্গেট দিয়েছে তা তো পূরণ হয়নি?
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পূর্ণাঙ্গ তথ্য চায় আইএমএফ
Advertisement
উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ যে টার্গেট দিয়েছে, ওদেরটা কখনো পূরণ করা যাবে না। আইএমএফ কী টার্গেট দিয়েছে বলেন? ১২ দিনের ইনকাম হচ্ছে আমাদের লাইবেলিটি। আমাদের যে রেমিট্যান্স আসে সেই পরিমাণও তো আমরা লোন নিচ্ছি না, ১৩০ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আমাদের কতো আছে, রেমিট্যান্স যা আসে আরও ডাবল করা যায়।
দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাতে আমরা রিফর্ম এনেছি। এই রিফর্মের কারণে এখনো জীবিত আছি আমরা। যদি আমাদের ৬-৯ সুদের হার না থাকতো.... আমরা যদি আগের মতো সুদের হার ২২-২৪ শতাংশ রাখতাম, তাহলে এতদিন আমরা কোথায় চলে যেতাম, হারিয়ে যেতাম। দেশের অর্থনীতি হারিয়ে যেত, দেশের মানুষ হারিয়ে যেত। কিন্তু আজকে আমরা সেই কাজটি করতে দেইনি। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন এটা সম্ভব।
আরও পড়ুন: পাচার অর্থ ফেরত আনতে কী করছে দুদক, জানতে চায় আইএমএফ
এখন তো আবার সুদের হার বাড়ছে, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সুদের হার বাড়ে যদি এটা একুমুলেট করতে পারে হোয়াই নট। আমরা একুমুলেট করতে পারতাম না, আমাদের ছোট ব্যবসায়ীরা, মাঝারি উদ্যোক্তারা এমনকি বড় উদ্যোক্তারা সবগুলো ছিল....। আমরা সেগুলোকে রক্ষা করেছি। পরে আমাদের খেলাপিঋণ বেড়ে যাচ্ছিল, খেলাপিঋণ যাতে না বাড়ে সে জন্য আমরা এটাকে বাস্তব অবস্থার নিয়ে এলাম। আমরা সময় বাড়িয়ে খেলাপি হতে দেয়নি। দুই-একটা ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক লেনদেন লক্ষ্য করেছি। সেগুলো এবার থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
Advertisement
আরও পড়ুন: আইএমএফ-এর ঋণ ও শর্ত
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামীতে মূল চ্যালেঞ্জ অর্থনীতি, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন ঠিক বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী যে চিন্তা করেন আমরাও একই চিন্তা করি। আমাদের আলাপ-আলোচনা হয়। অর্থনীতি দুর্বল হলে সরকার কীভাবে টিকে থাকবে, আর দেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে? আমি এখনো বলি, আমরা ভালো অবস্থানে আছি।
এমএএস/জেডএইচ/এএসএম