বর্তমানে মায়েদের কাছে শিশুর না খেতে চাওয়া একটা বড় সমস্যা। শিশুর শারিরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য খাবার খাওয়াটা জরুরি। তাই প্রথমেই আপনাকে জানার চেষ্টা করতে হবে শিশুর না খেতে চাওয়ার কারণ। লক্ষ রাখতে হবে আপনার সন্তান ঠিক মত চলাফেরা, খেলাধুলা করছে কি না, হাসিখুশি আছে কি না। সমবয়সি অন্যান্য শিশুর মতো আপনার শিশুর বৃদ্ধি ঠিক মতো হচ্ছে কি না। এগুলো যদি সব ঠিক থাকে, তাহলে শিশুর ঠিকমতো যত্ন নিচ্ছেন কিনা দেখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় শিশুকে খাওয়ানোর জন্য জোরাজুরি করা হয়। একটু খাওয়া নিয়ে সারা দিন বাচ্চার পেছনে ঘোরাঘুরি করা হয়। আপনার শিশু এতে বিরক্ত হয়ে পরতে পারে। একই খাবার প্রতিদিন না দিয়ে, দিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের খাবার। এতে করে শিশুর রুচি বৃদ্ধি পাবে। খাওয়ার জন্য শিশুকে মারধর একদমই করবেন না। শিশুর খাবার সাজিয়ে দিতে পারেন। খাবারে নিয়ে আসতে পারেন বৈচিত্র্য। একদিন খিচুরি, অন্যদিন সুজি এভাবে পরিবর্তন করে দেবেন। বিরতি দিয়ে দিয়ে শিশুকে খাবার দিতে পারেন। এছাড়াও বয়সের উপর নির্ভর করবে, কতবার শিশুকে খাবার দেবেন। খুব ঘন ঘন খাবার না দিয়ে, আড়াই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা পরপর খাবার দিতে পারেন। খাবারের পরিমাণও হতে হবে বয়স অনুসারে। তাই কতটুকু প্রয়োজন, কতটুকু খাওয়াতে হবে এবং কতটুকু বিরতি দিতে হবে, সেটি অবশ্যই জানতে হবে।যে বাচ্চাটি নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করে, তার দিনে একবার পায়খানা হলে বুঝতে হবে ঠিক আছে। তারপর যদি দুবার হয় কোনো অসুবিধা নেই। পরিবারের সবার সাথে শিশুকে খাবার দিতে পরেন। তখন তার নিজে নিজে খাওয়ার অভ্যাস হবে। একি সাথে খাওয়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। ঘরে তৈরি খাবার শিশুকে দেবেন। এর জন্য খুব একটা কষ্ট করতে হবে না। পরিবারে যে খাবার খাওয়া হয় সেটাই একটু নরম করে বাচ্চাকে দিতে পারেন। এর মধ্যে শাকসবজি, মাছ, মাংস দিতে পারেন, কিন্তু লবণ বা ঝাল কম দিতে হবে। টিভি দেখিয়ে কিংবা অনেক খেলনা দিয়ে শিশুকে খাওয়াবেন না। এতে করে শিশুর খাবারের প্রতি মনযোগ থাকে না, আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আপনার শিশুর খাওয়া দাওয়া ঠিক থাকলেইতো মানসিকভাবে আপনারা থাকবেন প্রশান্তিতে। আর আপনার শিশু থাকবে প্রাণোচ্ছ্বল, সুস্থ, সাবলিল।এইচএন/পিআর
Advertisement