নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের কাঁচি প্রতীকের জয় ছিনিয়ে নিয়ে নৌকাকে জেতানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত গৃহীত ৫০০ ভোট আধাঘণ্টা পর দেওয়া ফলাফলে দুই হাজার হলো কীভাবে?
Advertisement
রোববার (৭ জানুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। পরে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
আতাউর রহমান ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘সোনাইমুড়ীর বজরা ও নাটেশ্বর ইউনিয়নের কেন্দ্রেগুলোতে বিকেল সাড়ে ৩টায় গিয়ে জানতে পারি, ৫০০-৬০০ করে ভোট গৃহীত হয়েছে। কিন্তু ফলাফলে ওই কেন্দ্রগুলোতে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ভোটগ্রহণ দেখানো হয়েছে। নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা এ অনিয়ম করেছেন। ওই দুই ইউনিয়নে আবারও ভোটগ্রহণের দাবি জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিঘণ্টার গৃহীত ভোটের হিসাব নির্বাচন কমিশনের কাছে রয়েছে। তাহলে শেষের আধাঘন্টায় আরও তিন থেকে চারগুণ ভোট এলো কোথা থেকে? তা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। বিষয়টি ভিডিও ফুটেজসহ আমি জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। প্রতিকার না পেলে উচ্চ আদালতে যাবো।’
Advertisement
এ আসনে জয়লাভ করেছেন নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি গত ১০ বছরে এলাকার ব্যাপক উন্নয়নসহ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখেছি। এজন্য ভোটাররা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করেছেন। আমি তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে বদ্ধপরিকর।’
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাতে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়েছি। তবে ওই দুই ইউনিয়নে ভোটের হিসাব আবারও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।’
ভোটের ফলাফলে দেখানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম ৫৬ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৬৩ ভোট।
আসনটিতে মোট ভোটার তিন লাখ ৬০ হাজার ৪৬৪ জন। এরমধ্যে গৃহীত হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ২৯ ভোট। যা মোট ভোটের ৩১.৬৩ শতাংশ।
Advertisement
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এএসএম