জাতীয়

চট্টগ্রাম-৫ আসনে ১৯ কেন্দ্রের ফল বাতিলের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী-মহানগর আংশিক) আসনের ১৯টি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী। তিনি কেন্দ্র দখল ও জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচন কমিশন ছাড়াও তিনি রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ওই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

Advertisement

মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এ আওয়ামী লীগ নেতা কেটলি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে সমর্থন দেয়। যে কারণে নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী ছিল না।

চট্টগ্রাম-৫ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭১৩ জন। নির্বাচনে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী কেটলি প্রতীকে ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট পান। এ আসনে ২০ দশমিক ৬২ শতাংশ ভোট পড়ে।

অভিযোগ ওঠা কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- ফরহাদাবাদ কোরানীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউছুফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফরহাদাবাদ বংশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মির্জাপুর পাহাড়তরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর ছাদেক নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সন্দ্বীপ পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর মাদার্শা উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর মাদার্শা আনোয়ারিয়া সরকারি বিদ্যালয়, জোবরা পিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পশ্চিম পট্টি, ফতেপুর কুলালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিকনদণ্ডী কাটাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খন্দকিয়া ছমদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আকবরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুয়াইশ বুড়িশ্চর সম্মেলনী উচ্চ বিদ্যালয়, আল-ইহসান ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি চৌধুরী নগর, ব্রাইটসান কিন্ডারগার্টেন হাই স্কুল, ডা. মজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয় শেরশাহ কলোনি একাডেমিক কেন্দ্র-১, ডা. মজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয় পশ্চিম ভবন কেন্দ্র-২ এবং উত্তর ছাদেক নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

Advertisement

লিখিত অভিযোগে মুহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরী উল্লেখ করেন, কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্ট ও সন্ত্রাসী বাহিনী কেটলি প্রতীকের এজেন্টদের সকাল থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়। এসব কেন্দ্রে কোনো ভোটার যেতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্র দখল করে লাঙ্গল সমর্থকরা প্রচুর জাল ভোট দিয়েছেন। কেটলি প্রতীকের কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে কেটলি প্রতীকে পরাজিত দেখানো হয়েছে।

ইকবাল হোসেন/ইএ/এমএস