অর্থনীতি

মুনাফা বেশি হওয়ায় বিনিয়োগ বাড়ছে ট্রেজারি বিল-বন্ডে

ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছে। এসব খাতে বিনিয়োগে আগ্রহও বাড়ছে। ব্যাংকের বদলে ট্রেজারি বিল-বন্ড ছেড়ে সরকার ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে ঋণ করছে। আর এ কারণেই এখন বিল-বন্ডে বিনিয়োগ করলে ভালো মুনাফা মিলছে। ব্যাংকের চেয়ে ট্রেজারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ অনেক বেশি লাভজনক হয়ে উঠেছে।

Advertisement

ট্রেজারি বিল ও বিভিন্ন মেয়াদি বন্ডে বিনিয়োগ করতে হলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আলাদা হিসাব খুলতে হবে। ব্যক্তির পক্ষে বিল বা বন্ড কিনে দেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সাম্প্রতিক সময়ে বিল-বন্ডে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে। ব্যক্তিপর্যায়েও বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে। মূলত সুদহার বেড়ে যাওয়ায় এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে বলে জানান খাত সংশ্লিষ্টরা।

প্রথমবারের মতো দেশে দুই বছর মেয়াদি বন্ডে সুদহার ১১ শতাংশের বেশি হয়েছে। গত বুধবার দুই বছর মেয়াদি বন্ডে সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত নিলামে ৯১ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদহার ছিল ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ। ২০২৩ মালের জুনে ট্রেজারি বিলের সুদহার ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদহার হয়েছে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ। ২০২৩ সালের জুনে এ বিলের সুদহার ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এছাড়া ৩৬৪ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদহার বেড়ে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ হয়েছে। এটিও গত বছরের জুনে ছিল ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

Advertisement

তবে, এখন মধ্যবিত্তের নিরাপদ বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান খাত পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যায়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত ও ব্যাংকের তারল্য সংকট কাটাতে ৯ শতাংশ সুদহার তুলে আগামীতে ঋণের সুদহার কত হবে তা ‘স্মার্ট’ পদ্ধতিতে ঠিক করা হয়। নতুন এ পদ্ধতি চলতি বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হয়। ৯ শতাংশ ঋণ সুদহার তুলে দিয়ে ট্রেজারি বিল, বন্ডের ছয় মাসের গড় সুদহার (ওয়েটেড) বিবেচনা করে প্রতি মাসে একটি রেফারেন্স রেট নির্ধারণ করে দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এর সঙ্গে সর্বোচ্চ তিন শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংক।

ইএআর/এমএএইচ/এমএস

Advertisement