জাতীয়

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ১২, জাতীয় পার্টি ১, স্বতন্ত্র ৩টিতে জয়ী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে চট্টগ্রাম-৬ রাউজানে। এ আসনে সর্বোচ্চ ৭৩ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। অন্যদিকে, সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে চট্টগ্রাম-১১ বন্দর-ডবলমুরিং আসনে। এ আসনে ভোট পড়ার হার ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ১৬টি আসনের মধ্যে ১৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এক আসনে জিতেছে জাতীয় পার্টি। অন্যদিকে স্বতন্ত্র হিসেবে জিতেছেন তিন আওয়ামী লীগ নেতা।

Advertisement

চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে ভোটার ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫২৫। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪১ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন। নির্বাচনে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মাহবুব উর রহমান রুহেল ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মমদ গিয়াস উদ্দিন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট। এ আসনে ভোট পড়ে ৩৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯০২ জন, মহিলা ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৮২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৩ জন। আসনটিতে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মো. আবু তৈয়ব তরমুজ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৬৬ ভোট। এ আসনে ৩২ দশমিক ৭৪ শতাংশ ভোট পড়ে।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯১৪। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৬৯ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৪৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন। নির্বাচনে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মাহফুজুর রহমান মিতা ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭০ ভোট। এ আসনে ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

Advertisement

চট্টগ্রাম-৪( সীতাকুণ্ড- চট্টগ্রাম মহানগর আংশিক) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ২৭ হাজার ১৭২। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২৪ হাজার ৮২৭ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৩৩৭ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮ জন। নির্বাচনে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এস এম আল মামুন ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী দিদারুল কবির। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছে ৪ হাজার ৮৮০ ভোট। এ আসনে ৩৭ দশমিক ২১ শতাংশ ভোট পড়ে।

চট্টগ্রাম-৫( হাটহাজারী-চট্টগ্রাম আংশিক) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭১৩। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৮১১ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯০১ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১ জন। নির্বাচনে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আসনটিতে জাতীয় পার্টিকে সমর্থন দেয় আওয়ামী লীগ। যে কারণে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিল না। আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী কেটলী প্রতীকে ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট পান। এ আসনে ২০ দশমিক ৬২ শতাংশ ভোট পড়ে।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯২০। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৬ হাজার ২১৮ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ৭০২ জন। নির্বাচনে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও করলেও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী অদ্বিতীয় হিসেবে ২ লাখ ৩০ হাজার ৪৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তিনি চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে নৌকা প্রতীকে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়ার রেকর্ড গড়েন। নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে ৩ হাজার ১৫৯ ভোট পান। আসনটিতে চট্টগ্রামের অন্য আসনগুলোর চেয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৩ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়ে।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯১। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ১৫০ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৪১ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোমবাতি প্রতীকে পান ৯ হাজার ৩০১ ভোট। এ আসনে চট্টগ্রামের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ ভোট পড়ে।

Advertisement

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৩। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৩৬ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ৫২ হাজার ৮৩৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১ জন। নির্বাচনে এই আসনে নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী ছিল না। আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে জাতীয় পার্টির সোলাইমান আলম শেঠ লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিলেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি। আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুচ ছালাম কেটলী প্রতীকে ৭৮ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেক আওয়ামী লীগ নেতা বিজয় কুমার চৌধুরী কিষাণ ফুলকপি প্রতীকে পান ৪১ হাজার ৫শ ভোট। আসনটিতে ভোট পড়ে ২৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯ হাজার ৫৭৬। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৭৩৮ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮ জন। নির্বাচনে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও বর্তমান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার সানজীদ রশীদ চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে পান মাত্র ১ হাজার ৯৮২ ভোট। এ আসনে ভোট পড়ে ৩৪ দশমিক ৪০ শতাংশ।

চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী-হালিশহর) আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮০১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ৩৯৯ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২৬ জন। নির্বাচনে আসনটিতে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। তন্মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র মো. মনজুর আলম ফুলকপি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট। আসনটিতে ২১ দশমিক ৬৪ শতাংশ ভোট পড়ে।

চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১১ হাজার ৮৫২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৭৪ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২ জন। নির্বাচনে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তন্মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা চসিকের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট। এ আসনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে কম ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট পড়ে।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৪২৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭২ হাজার ২৪০ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮৮ জন। নির্বাচনে আসনটিতে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তন্মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ঈগল প্রতীকে ৩৫ হাজার ২৪০ ভোট পান। আসনটিতে ভোট পড়েছে ৫১ দশমিক ২৪ শতাংশ।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৩ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬২১ জন। নির্বাচনে আসনটিতে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে প্রায় প্রতিযোগিতাহীনভাবে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ১ লাখ ৮৭ হগাজার ৯২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুর রব চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে ৩ হাজার ৩০৬ ভোট পান। আসনটিতে ভোট পড়ে ৫৭ দশমিক ১৪ শতাংশ।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আংশিক আসনে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৯৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৭৭ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১ জন। নির্বাচনে আসনটিতে ৮ জন করেন। তন্মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ৭১ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়াম লীগ নেতা মোহাম্মদ আবদুল জব্বাব চৌধুরী ট্রাক প্রতীকে ৩৬ হাজার ৮৮৪ ভোট পান। আসনটিতে ৪০ দশমিক ৬৮ শতাংশ ভোট পড়ে।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪১১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭০৯ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ১৩ হাজার ৭০২ জন। নির্বাচনে আসনটিতে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তন্মধ্যে স্বতন্ত্র প্রাথী আওয়ামী লীগ নেতা বনফুল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব ঈগল প্রতীকে ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট। এ আসনে ২৮ দশমিক ২২ শতাংশ ভোট পড়ে।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৬ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৯৭ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২ জন। নির্বাচনে আসনটিতে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আসনটিতে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে নির্বাচন গ্রহণের ষেণ পর্যায়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করেন। পুরো নির্বাচনে তিনি সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। পরে পুলিশের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চরম সমালোচিত হন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান সিআইপি ঈগল প্রতীকে ৫৭ কহাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেক আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন ট্রাক প্রতীকে ৩২ হাজার ২২০ ভোট পান। এ আসনে ভোট পড়েছে ৩৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় তার প্রাপ্ত ভোটগুলো বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ৩৬ হাজার ৯৬৮ ভোট বাতিল হয়।

ইকবাল হোসেন/এসএনআর/এএসএম