আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক যুগেই দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার জন্য নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। সকল উম্মতের কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছেন যে, তাঁরা আল্লাহ ব্যতিত আর কারো ইবাদাত-বন্দেগি করবে না। পাশাপাশি আল্লাহর হক আদায়ের তাগিদের পর সৃষ্টির প্রতি দায়িত্ব পালনের জন্য বান্দাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন- ‘তোমরা আল্লাহ ব্যতিত আর কারো ইবাদাত-বন্দেগি করো না এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম-মিসকিনদের সাথে ভালো ব্যবহার করো এবং মানুষের সঙ্গে ভালো কথা বলবে।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৮৩)আল্লাহ ব্যতিত আর কারো ইবাদাত-বন্দেগি না করার ওয়াদা গ্রহণের পর তিনি সৃষ্টির প্রতি দায়িত্ব পালনের তাগিদ দিয়েছেন। তন্মধ্যে প্রথমেই পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব পালনের, তাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। অতপর পর্যায়ক্রমে আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম-মিসকিন সর্বোপরি মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার নিদেংশ দিয়েছেন।সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার কি অধিকার রয়েছে? এমন প্রশ্নে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, পিতা-মাতা তোমার বেহেশত ও দোজখ। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, ‘মা-বাবার সন্তুষ্টির মধ্যেই নিহিত আছে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি।তাইতো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর এক সাহাবাকে জিহাদের অনুমতি না দিয়ে বাবা-মার খিদমতের কথা বলেছেন। বাবা-মার খিদমতেই জিহাদের সাওয়াবের কথা উল্লেখ করেছেন।অতপর আত্মীয়-স্বজনের প্রতি সদয় হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তাআল নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বিশ্বনবি বলেছেন, যে ব্যক্তি এ আকাংখা করে যে, তাঁর মৃত্যু যেন মন্দ অবস্থায় না হয়, হায়াত বৃদ্ধি পায় এবং রিযিকের পথ প্রশস্ত হয়। সে ব্যক্তির উচিত আল্লাহর প্রতি ভয় রাখা এবং আত্মীয়-স্বজনের প্রতি সদ্ব্যবহার করা।এভাবেই ইয়াতিম-মিসকিনের অধিকার আদায়ে আল্লাহর নির্দেশ পালন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে উত্তম কথা বলার তাগিদ দিয়েছেন।পরিশেষে...আল্লাহ তাআলার হক আদায়ের পর তাঁরই ঘোষণা মোতাবেক সৃষ্টির মধ্যে বাবা-মার প্রতি সদয় হওয়া, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম-মিসকিন ও মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করা আমাদের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বাবা-মার প্রতি ইহসানসহ তাঁর যাবতীয় বিধি-বিধান যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement