মাদারীপুরের কালকিনিতে ব্যালট পেপারে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দিয়ে বক্সে ভরার অভিযোগ ওঠায় একটি ভোটকেন্দ্র প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
Advertisement
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত কালকিনির ৬৮নং দক্ষিণ রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটি বন্ধ করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ, বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ও মাদারীপুর-৩ আসনের সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট কামরুল হাসান বলেন, ‘কেন্দ্রে ঝামেলা দেখে আমরা দ্রুত কেন্দ্রে চলে এসে পরিস্থিত শান্ত করেছি। কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ কিছু সময় বন্ধ থাকার পার আবার সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কালকিনির ৬৮নং দক্ষিণ রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সোয়া ১১টার দিকে আসেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ।
Advertisement
এ সময় গোলাপের সঙ্গে ২০২৫ জন কর্মী সমর্থক ছিলেন। তিনি কেন্দ্রে আসার পরেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতিকের মোসা. তাহমিনা বেগমের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়।
পরে ব্যালেট পেপারে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দিতে যায় নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল ব্যাপারী। ব্যালট পেপারে সিল দেওয়া শুরু করলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
এতে করে কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেন দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার। পরে মাদারীপুর-৩ আসনের সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ ওই কেন্দ্রে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ভোট গ্রহণ আবারও চালু করেন। এতে করে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি।
নাম না প্রকাশে কয়েকজন ভোটার বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ এই কেন্দ্রে আসার পরই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। আমরা দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থেকে পরে ভোট দিতে পেরেছি। এতে করে সাধারণ ভোটারদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।’
Advertisement
ওই কেন্দ্রের নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল ব্যাপারী বলেন, ‘নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দেওয়া হয়নি। আমি কিছুই করিনি। ঈগলের এজেন্ট কোথায় তা বলতে পারবো না। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম বলেন, ‘আমার এজেন্ট বের করে দিয়ে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দেওয়া হচ্ছে। ভোটের পরিবেশ নষ্ট করছে গোলাপ। প্রশাসনকে বিষয়টি কঠোরভাবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।’
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীর মৃধা বলেন, ‘এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৬১৯ জন। এমপি সাহেব (ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ) কেন্দ্রে আসার পরেই ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। পরে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে কেন্দ্রটি আমরা সাময়িক বন্ধ রাখার পর আবার ভোট গ্রহণ হয়।’
মাদারীপুর-৩ আসনের সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগে রমজানপুরের ভোটকেন্দ্রটি সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিলো। পরে আবার তা চালু করা হয়।’
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/জেএমএস/জেআইএম