দেশজুড়ে

দুই মণ চালে এক কেজি ইলিশ

শরীয়তপুরে পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে দুই মণ চালে পাওয়া যাচ্ছে এক কেজি ইলিশ। জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারে ইলিশের সরবরাহ নেই বললেই চলে। ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া এবং গোসাইরহাট উপজেলার বাজারগুলো প্রায় ইলিশ শূন্য। এক কেজি ইলিশ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৪শ টাকা দাম হওয়ায় তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তাই মধ্যবিত্ত শ্রেণির নববর্ষ উৎসবে পান্তা ইলিশ খাওয়া হয় কিনা তা চিন্তার বিষয়।মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেন, মৎস্য অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ ধরা নিষেধ থাকায় বাজারে মাছ নেই। সামনে পহেলা বৈশাখের চাহিদা বাড়ায় বরিশাল থেকেও মাছ আসছে না। আর যা মাছ পাওয়া যাচ্ছে নদীর মধ্যে ট্রলারেই কেনা-বেচা হচ্ছে। ইলিশ মাছগুলো লঞ্চ ও ট্রলারযোগে ঢাকায় চলে যাচ্ছে। এজন্য মোকামে ইলিশ কম আসছে।ভেদরগঞ্জ উপজেলার আলুর বাজার এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মোক্তার হোসেন বলেন, মাছ ধরার উপর নিষেধ থাকায় বাজারে মাছ নেই। মাঝে মাঝে বরিশাল থেকে কিছু মাছ আসে। যার দাম আকাশ ছোঁয়া। ৭শ থেকে ৮শ গ্রাম ওজনের ১ কেজি ইলিশের দাম প্রায় ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৪শ টাকা। যা দিয়ে দুই মণ চাল পাওয়া যায়।ভেদরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগান বলেন, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস পদ্মা ও মেঘনার ষাটনল থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত প্রায় ১শ কিলোমিটার মৎস্য অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিষেধ। তাই এই সময় বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম। যেখানে অভয়াশ্রম নেই সেখানে ধরা মাছ বাজারে এনে বিক্রি করা যাবে। আড়তদার মো. জসিম মাদবর ও মোকলেছ পেদা বলেন, আমরা বর্তমানে ইলিশ বরিশাল থেকে এনে বিক্রি করি। এই মাছগুলো ৯ ইঞ্চি এর বড়। এর চেয়ে বড় ইলিশ মাছ এই এলাকায় আসে না। বড় মাছ ঢাকায় পাঠানো হয়। কিছু মাছ বৈশাখের জন্য মজুদ করা হয়েছে তাই বাজারে ইলিশ সংকট দেখা দিয়েছে।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন,  অভয়াশ্রমগুলোতে জেলেরা মাছ শিকার করতে না পারায় বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম। ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো এবং সংরক্ষণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমাদের কোন হাত নেই। এসএস/এমএস

Advertisement