মন খারাপ হলেই অনেকে মজার কিছু দেখার চেষ্টা করেন। এদের মধ্যে মিস্টার বিনের বিভিন্ন পর্ব দেখেন। মিস্টার বিন সবার মন ভালো করে দেয়। বলা চলে সবার হাসির খোরাক জোগানো চরিত্র ‘মিস্টার বিন’।
Advertisement
মিস্টার বিনকে আমরা কার্টুন বা সত্যি মানুষ- দুভাবেই দেখে থাকি। এর মধ্যে সত্যিকারের যে মানুষটিকে মিস্টার বিন হিসেবি দেখি, তিনি হচ্ছেন ‘রোয়ান অ্যাটকিনসন’।
মিস্টার বিন চরিত্রের কাছে তার আসল নাম ঢাকা পড়ে গেছে। তার পুরো নাম ‘রোয়ান সেবাস্টিয়ান অ্যাটকিনসন’। তিনি ১৯৫৫ সালের ৬ জানুয়ারি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ।রোয়ান অ্যাটকিনসন অর্থাৎ সবার পরিচিত মিস্টার বিন একজন জনপ্রিয় ব্রিটিশ লেখক, অভিনেতা ও কমেডিয়ান। তিনি অনেক সিনেমায় অভিনয় করলেও মূলত মিস্টার বিন এবং ব্ল্যাকাডার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেছিলেন।
মিস্টার বিন নামেই রোয়ান অ্যাটকিনসনকে সবাই চেনেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রথমে কিন্তু তিনি মিস্টার বিন চরিত্রের জন্য জনপ্রিয় হননি। স্কেচ কমেডি শো ‘নট দ্যা নাইন ও’ক্লক নিউজ’ এবং ‘দ্যা সিক্রেট পুলিসম্যান’স বল’ এ অংশগ্রহণের মাধ্যমেই তিনি শুরুতে দর্শকপ্রিয়তা পান। এরপর থেকে তিনি সিনেমা, বিজ্ঞাপন ও অনুষ্ঠানে কাজ শুরু করেন।
Advertisement
শুধু টেলিভিশনের পর্দায় নয়, অ্যাটকিনসন রেডিওতেও কাজ করেছেন। ১৯৭৮ সালে বিবিসি রেডিওর জন্য ‘দ্যা অ্যাটকিনসন পিপল’ নামক একটি কমেডি শো শুরু করেছিলেন। এটি লিখেছিলেন রোয়ান অ্যাটকিনসন এবং রিচার্ড কার্টিস নামের এক লেখক।
রোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে টেলিভিশনে কাজ শুরু করেন। বিবিসির ‘নট দ্যা নাইন ও’ক্লক নিউজ’ তাকে সাফলতা এনে দেয়, সেই সঙ্গে পরিচিতিও। তিনি অনুষ্ঠানটির অন্যতম স্কেচ লেখক ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানটির তুমুল জনিপ্রয়তার পর ১৯৮৩ সালে রোয়ান কাজ করেন ‘ব্ল্যাক অ্যাডার’-এ। এটিও তিনি রিচার্ড কার্টিসের সঙ্গে যৌথভাবে রচনা করেছিলেন।
জানা যায়, অক্সফোর্ডের কুইনস কলেজে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সময় রোয়ান মিস্টার বিন তৈরি করেন। ১৯৯০ সালের শুরুতে মিস্টার বিনকে টেলিভিশনের পর্দায় দর্শক দেখতে পায়। ১৯৯৫ সালে পর্যন্ত মিস্টার বিনের বিভিন্ন পর্ব প্রচার হয়। এরপর ১৯৯৭ সালে চরিত্রটি নিয়ে তৈরি হয় ‘মিস্টার বিন’ নামের একটি সিনেমা।
Advertisement
এরপর ২০০৭ সালে মুক্তি পায় ‘মিস্টার বিন’স হলিডে’। ২০১২ সালে নভেম্বর মাসে রোয়ান ঘোষণা দেন মিস্টার বিনকে নিয়ে আর কিছু তৈরি হবে না। সেখানেই শেষ হয় মিস্টার বিন অধ্যায়ের।
রোয়ান অ্যাটকিনসন কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার লাভ করেছেন। ‘দ্যা অবজার্ভার’ তাকে ব্রিটিশ কমেডির সবচেয়ে মজার ৫০ জন অভিনেতার একজন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। অন্যদিকে ২০০৫ সালে ভোটের মাধ্যমে রোয়ান অ্যাটকিনসন সর্বকালের সেরা ৫০ জন কমেডিয়ানের একজন নির্বাচিত করে।
এমএমএফ/এমআরএম