রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ, সেজন্য এদিন ভোটের সাধারণ ছুটি। এর আগের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় একসঙ্গে তিনদিনের ছুটিতে গেছে দেশ। সব মিলিয়ে একটা ছুটির আমেজ পড়েছে। আবার বিএনপির ডাকা হরতালের প্রথমদিন। এতে ফাঁকা হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। এর প্রভাব রাজধানীর বাজারগুলোতে। বাজারে ক্রেতা কমে গেছে। অনেক দোকান দেখা গেছে বন্ধ।
Advertisement
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরাও অনেকে ছুটিতে গ্রামে গেছেন। তাতে রাজধানীর অনেক বাজার, বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ। কিছু দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা তেমন নেই। তাই বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন।
শনিবার রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে মুদিদোকানের অনেকগুলো খোলেনি। মাছ-মাংস ও ডিমের অনেক দোকানও বন্ধ। কিছু কিছু দোকান খোলা থাকলেও সরবরাহ ও চাহিদা খুবই কম।
এছাড়া রাজধানীর রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় ফুটপাতের দোকানগুলোও বেশিরভাগ বসেনি। পাড়া-মহল্লায় ফেরি করে পণ্য বিক্রি করা মানুষের সংখ্যাও কম।
Advertisement
সেগুনবাগিচা বাজারে সবজি বিক্রেতা অনিস বলেন, লোক নেই একদম। ফাঁকা বসে আছি। মাঝে মধ্যে দু-একজন ক্রেতা আসছেন। বেচা-বিক্রি খারাপ।
তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার কিছু বেচাকেনা হয়েছে, আজ আরও কমেছে।
রামপুরা বাজারের বিক্রেতা শরিফউদ্দিন বলেন, অনেকে ভয়ে বের হচ্ছে না। কারণ রাস্তাঘাটে যানবাহনে আগুণ দিচ্ছে। আবার অনেক মানুষ টানা ছুটি পেয়ে গ্রামে চলে গেছে। কেউ কেউ ভোট দিতে গেছে।
মালিবাগে ‘মা ব্রয়লার হাউসে’র খালেক উদ্দিন বলেন, বাজারে ক্রেতা না থাকায় সকাল থেকে ছয় হাজার টাকার মুরগি বিক্রি করেছি। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ২৫-০৩০ হাজার টাকার মুরগি বিক্রি হয়।
Advertisement
তিনি বলেন, খুব সকালে দোকান খুললেও ক্রেতার অভাবে তেমন বেচাকেনা হয়নি। দুপুর নাগাদও ক্রেতা হয়নি। আগামীকাল আরও ফাঁকা যাবে। বন্ধ রাখবো ভাবছি।
রাজধানীর ওই তিনটি বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছুটিতে যারা বাড়ি যাননি, তারাই মূলত আজ দোকান খুলেছেন। যেসব দোকান বন্ধ তাদের অনেকে গ্রামে গেছে ভোটের জন্য। আবার অনেকে বিক্রি না থাকায় দোকান খুলছেন না।
পাইকারি বিক্রেতা আবু জাফর বলেন, ভোটে কি হয় সে নিয়ে অনেকের শঙ্কা। তাই যেন এ ছুটিতে বাড়ি থেকে বের হতে না হয়, সেজন্য আগে কেনাকাটা করে রেখেছে। অনেকে ভয়েও বাজারে আসছে না।
এনএইচ/জেডএইচ/জেআইএম