ফের ঘটনাস্থল ঢাকা, ফের ট্রেনে আগুন। তেজগাঁওয়ের পরিবর্তে এবার গোপীবাগ। পার্থক্য শুধু এটুকুই। দগ্ধ হয়ে মৃত্যুও হয়েছে চারজনের। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ১৭ দিনের মাথায় ঢাকায় আবারও চলন্ত ট্রেনে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা। তেজগাঁওয়ের ঘটনার ১৭ দিনেও জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Advertisement
গত ১৯ ডিসেম্বর ভোরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মা-শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় হওয়া হত্যা মামলাটি থানা-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), র্যাবসহ বিভিন্ন ইউনিট ছায়া তদন্ত করছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত পর্যন্ত তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কোনো ইউনিটই ট্রেনে আগুনের ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্তের কথা জানাতে পারেনি।
এর আগে ২১ ডিসেম্বর সন্দেহভাজন নয়জনকে আটকের কথা জানায় র্যাব-১। তবে এ ঘটনায় তারা জড়িত কি না বা যারা আগুন দিয়েছে তাদের চেনেন কি না, সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র্যাব জানিয়েছিল, ট্রেনে আগুন দেওয়ার এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
Advertisement
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় জড়িতদের নাম পাওয়া গেছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে ডিবি।
এদিকে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসের চলন্ত ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুন লাগা ট্রেন থেকে এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আহত অনেকে।
ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কনেল মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ এক ঘণ্টা ১০ মিনিটে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। আটটি ইউনিট কাজ করেছে। আমরা এখনো উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছি। এখন পর্যন্ত চারটি মরদেহ আমরা উদ্ধার করেছি। আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলমান। আগুনে মোট চারটি বগি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। রাত ১০টা ২২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
টিটি/এএসএ/বিএ
Advertisement