আন্তর্জাতিক

গাজা শাসনের নতুন পরিকল্পনা ইসরায়েলের

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রক হামাসকে বাদ দিয়েই অঞ্চলটি শাসনের নতুন পরিকল্পনা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) চার ধারাবিশিষ্ট একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।

Advertisement

এরই মধ্যে পরিকল্পনাটি ইসরায়েলের অন্তর্বর্তীকালীন যুদ্ধ মন্ত্রিসভা ও নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করা হয়েছে। এটিই ইসরায়েলের শীর্ষ কোনো কর্মকর্তার পক্ষ থেকে গাজার শাসনভার নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব। তবে প্রস্তাবটি এখনো ইসরায়েল নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকারের মধ্যে মতানৈক্য থাকায় এই প্রস্তাব পাস হওয়া নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করায় দ. আফ্রিকার ওপর ক্ষুব্ধ আমেরিকা

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকল্পনায় গাজার শাসনভার ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের কাছে থাকলেও অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের সামরিক উপস্থিতি থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনায় ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের কোনো উপস্থিতি থাকবে না বলেও দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

পরিকল্পনায় বাদ দেওয়া হয়েছে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের বিষয়টিও। অর্থাৎ, গাজা পুনর্গঠনের কোনো দায়ভার নেবে না ইসরায়েল। নিজের এই প্রস্তাবের বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত জানিয়েছেন, তিনি ধরেই নিয়েছেন যে গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করে ফেলবে ইসরায়েল ও সংগঠনটি তাদের জন্য আর হুমকি হয়ে দাড়াতে পারবে না।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে ফের ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছেন বাইডেন

তিনি আরও বলেন, তবে গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি বজায় থাকবে ও প্রয়োজনে যেকোনো সময় গাজার অভ্যন্তরে যেকোনো ধরনের অভিযান চালানোর অধিকার তাদের থাকবে। এ বিষয়ে গ্যালান্ত সাংবাদিকদের বলেন, গাজাবাসী যেহেতু ফিলিস্তিনি, তাই ফিলিস্তিনিরাই গাজার শাসনে থাকবে। তবে শর্ত হবে যে, কোনো ধরনে ঝুঁকি বা হুমকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তৈরি করা যাবে না।’

তবে গাজার প্রশাসনে কোনো ইসরায়েলির উপস্থিতি না থাকার বিষয়টি নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছে নেতানিয়াহু সরকারের কট্টরপন্থী অংশ। তাদের একজন অর্থমন্ত্রী বেজেলাল স্মতরিচ। তার ইচ্ছা, গাজায়ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপন করা হবে। তবে গ্যালান্তের পরিকল্পনায় এ বিষয়ে কোনো কিছুর উল্লেখ না থাকায় প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছেন স্মতরিচ।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাইডেনের গাজানীতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ

গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্তবেড়া ভেঙে ইসরায়েলে ঢুকে পড়েন হামাসের যোদ্ধারা। সেদিন তাদের হামলায় অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয় ও অন্তত ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে হামাস। জবাবে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় তিন মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এসএএইচ