খেলাধুলা

হারিয়ে যাওয়া ব্যাগি গ্রিন ফিরে পেলেন ওয়ার্নার

বিদায়ী টেস্টের আগে নিজের ব্যাগি গ্রিন হারিয়ে ফেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। নিজের টেস্ট ক্রিকেটের ‘শেষ সম্বল’হারিয়ে দারুণ এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন ওয়ার্নার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেটি ফিরে পাওয়ার জন্য আকুতিও জানিয়েছেন এই অসি ওপেনার।

Advertisement

অবশেষে চারদিন পর আজ শুক্রবার হারিয়ে যাওয়া সেই ব্যাগি গ্রিন ফিরে পেলেন ওয়াার্নার। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আনন্দের স্মৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যাগি গ্রিন ফেরত পেয়ে ভীষণ খুশি ওয়ার্নার সেই খবরটিও জানালেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই।

ব্যাগি গ্রিনটি যে ব্যাকপ্যাকে ছিল, আজ সিডনির হোটেলে সেটির সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে কীভাবে সেটি এখানে এসেছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ব্যাগি গ্রিন ফেরত পাওয়ার পর নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ওয়ার্নার। ভিডিওর সঙ্গে পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি সবাইকে জানাতে পেরে খুব খুশি এবং স্বস্তি বোধ করছি যে, আমার ব্যাগি গ্রিনটি পাওয়া গেছে। যা একটি দুর্দান্ত খবর। সকলকে ধন্যবাদ এবং আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। কান্টাস ( যে ফ্লাইটে ওয়ার্নার সিডনিতে এসেছিলেন সেই বিমান কোম্পানি) মালবাহী কোম্পানি, আমাদের হোটেল এবং টিম ম্যানেজমেন্ট আপনারদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সবাইকে ধন্যবাদ।’

Advertisement

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক মুখপাত্র বলেন, ‘প্যাক করা ব্যাগটি অন্যান্য জিনিসের সাথে টিম হোটেলে পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার হারিয়ে (ব্যাগি গ্রিন) পর বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা খোঁজাখুজি করেও সেটি পাওয়া যায়নি।’

দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেন, ‘ডেভিডের ক্যাপটি ফিরে পাওয়ার খবরটি দারুণ স্বস্তির। এটি খোঁজাখুজির সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন সবাইকে ধন্যবাদ। আমি সত্যিই আপনাদের কাজের প্রশংসা করি।’

এর আগে ব্যাগি গ্রিন হারিয়ে ওয়ার্নার জানিয়েছেন, কেউ যদি সেটি পেয়ে থাকেন বা নিয়ে থাকেন, তাহলে তা ফেরত দিলে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়বেন না। বরং ওয়ার্নারের আগে আরেকটি ক্যাপ আছে, সেটি তিনি দিয়ে দেবেন।

প্রতিটি ক্রিকেটারকে টেস্ট অভিষেকের দিন একটি ক্যাপ উপহার দেওয়া হয়। এটিই ব্যাগি গ্রিন নামে পরিচিত। প্রত্যেক ক্রিকেটারের কাছেই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। অনেক ক্রিকেটারই এটি অত্যন্ত যত্ন করে রাখেন। ওয়ার্নারও সেটি চাইছেন। যে কারণে এটি হারিয়ে ফেলে তা ফেরত পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

Advertisement

আইএইচএস/এমএস