জাগো জবস

আরও বিসিএস দেওয়ার সুযোগ আছে: চিশতিয়া পারভীন

চিশতিয়া পারভীন ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি ২৪ জুন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মৃত আনোয়ার হোসেন, মা শেফালী বেগম গৃহিণী। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

Advertisement

সম্প্রতি জাগো নিউজের সঙ্গে তিনি বিসিএস জয়, ক্যারিয়ার পরামর্শ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মমিন উদ্দিন—

জাগো নিউজ: ক্যাডার পাওয়ার অনুভূতি কেমন?চিশতিয়া পারভীন: অসাধারণ অনুভূতি। রেজাল্টের দিন ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম সকাল থেকে। আসরের সময় রেজাল্ট দিয়েছে আমি জানতামই না। হঠাৎ এক বন্ধু কল দিলো, দেখে ভয় লাগছিল। ভাবছিলাম হয়তো রেজাল্ট দিয়েছে, আমারটা জানার জন্য কল দিয়েছে। ভয়ে ভয়ে রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলে উঠলো, ‘অভিনন্দন! ক্যাডার তো হয়ে গেলি।’ শোনার পর চিৎকার দিয়েছি, অবিশ্বাস্য লাগছিল।

আরও পড়ুন: হতাশ না হয়ে পরিশ্রম করে যেতে হবে: দিপক কুমার শীল

Advertisement

জাগো নিউজ: পড়াশেনায় কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল কি?চিশতিয়া পারভীন: না, পড়াশোনায় কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবাই ভীষণ সাপোর্ট করেছে সব সময়। না হলে সম্ভব ছিল না।

জাগো নিউজ: বিসিএসের স্বপ্ন দেখেছিলেন কখন থেকে?চিশতিয়া পারভীন: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে। এর আগে আসলে কখনো বিসিএস নিয়ে এত জানতামই না।

জাগো নিউজ: বিসিএস যাত্রার গল্প শুনতে চাই—চিশতিয়া পারভীন: ডিপার্টমেন্টে দেখতাম, কিছু বন্ধু যারা পড়াশোনা নিয়ে ভীষণ সচেতন। তাদের দেখে প্রথম শুরু করা। আমাদের ব্যাচের হাফিজুর রহমান ৪১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত। ও অনেক পড়াশোনা করতো দেখতাম।এসব দেখে সাহস পাওয়া।

আরও পড়ুন: চাকরি মানে শুধু বিসিএসকেই মনে হতো: পারভীন ইসলাম

Advertisement

জাগো নিউজ: কারো কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন কি?চিশতিয়া পারভীন: অবশ্যই পেয়েছি। শুরু থেকেই আমার রুমমেট এ্যানি আপুর কেন জানি আমার প্রতি একটা বিশ্বাস ছিল। এরপর একদিন ডিপার্টমেন্টের এক বন্ধু কাউসার আলীও বলে, কী কী বই কিনতে হবে। তাছাড়া আমি কিছু ভীষণ ভালো বন্ধু পেয়েছি, যারা আমার কাছে অনুপ্রেরণা। সব সময় আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছে। তাদের এই বিশ্বাস দেখে ভাবতাম, হয়তো আমাকে দিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব।

জাগো নিউজ: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?চিশতিয়া পারভীন: আরও কয়েকটি বিসিএস দেওয়ার সুযোগ আছে। পছন্দের ক্যাডার পাওয়ার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখে যাবো—এই আর কি।

এসইউ/জেআইএম