জাতীয়

প্রবাসী-কারাবন্দি-চাকরিজীবীরা যেভাবে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন

অনেকে নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে থাকেন। নানা কারণে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না। এ কথা মাথায় রেখে এবারও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য ভোটাররা আগে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে কিছু প্রক্রিয়া মেনে তা ডাকযোগে প্রেরণ করবেন। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় পোস্টাল ব্যালট ভোট।

Advertisement

৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে এর মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। তবে পোস্টাল ব্যালট সংগ্রহের আবেদনের সময় শেষ। এখন যারা এ ব্যালট সংগ্রহ করেছেন তারা ভোট দিতে পারবেন।

নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটার, প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার, সরকারি চাকরিজীবী, যিনি চাকরি সূত্রে নিজ এলাকার বাইরে বসবাস করেন ও কারাবন্দিরা ভোট দিতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশন জানায়, তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করার বিধান রয়েছে। যারা এ সময়ে আবেদন করেছেন তারাই মূলত পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। আবেদন প্রাপ্তির পরপরই রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার ও একটি খাম পাঠাবেন।

Advertisement

নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বলা হয়েছে, আগ্রহী বাংলাদেশি ভোটার তালিকাভুক্ত প্রবাসীরা চাইলে দূতাবাসের মাধ্যমে এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন।

এবার প্রায় ১২ কোটি ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশি লাখো ভোটার। এছাড়া ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ কারাবন্দি মিলিয়ে কয়েক লাখ ভোটারের পোস্টাল ব্যালট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পোস্টাল ব্যালটে যেভাবে ভোট দেবেন

>> পোস্টাল ব্যালট পাঠানোর সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা আবেদনকারী নাম, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার নাম এবং ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বর ইস্যুকৃত ব্যালট পেপারের মুড়িপত্রে লিখে রাখবেন।

Advertisement

>> ভোটার নিজেই যথারীতি ভোট দিয়ে ব্যালট পেপারটি খামে ভরে পাঠাবেন। এক্ষেত্রে ডাক বিভাগের উপযুক্ত কর্মকর্তাকে দিয়ে সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের মাধ্যমে ডাকযোগে পাঠানোর প্রত্যয়নসহ তারিখ উল্লেখ থাকতে হবে।

>> সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালট পেপার গ্রহণ ও চিঠির ওপর এ সংক্রান্ত রাবার স্ট্যাম্পের সিল ব্যবহার করতে হবে।

>> রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে ব্যালট পেপারের সঙ্গে ভোট দেওয়ার নির্দেশনা, ঘোষণাপত্র, একটি ছোট ও একটি বড় খামসহ প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ সরবরাহ করবেন। এছাড়া, ব্যালট পেপার পাঠানোর পর মুড়ির অংশ একটি প্যাকেটে সিলগালা করে রাখবেন।

>> কেন্দ্রে গিয়ে ভোটদানে মার্কিং সিল ব্যবহার করতে হলেও পোস্টাল ব্যালট পেপারে টিক (√) চিহ্ন দিতে হবে। এক্ষেত্রে নির্দেশনা অনুসরণ করে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ব্যালট পেপারটি নির্ধারিত খামে রাখতে হবে।

>> এরপর ওই ভোটারের পরিচিত অন্য কোনো ভোটারের সামনে ঘোষণাপত্রে সই করে তা ওই ভোটারকে দিয়ে প্রত্যায়ন করে নিতে হবে। পরে ভোটদাতা যে ভোটকেন্দ্র এলাকার ভোটার, ওই নির্বাচনী এলাকার ভোটদান প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে ভোটার নিরক্ষর বা প্রতিবন্ধী হলে অন্যদের সহযোগিতা নিতে পারবেন।

>> রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত পোস্টাল ব্যালট পেপার ফল একত্রীকরণে যুক্ত করবেন। নির্ধারিত সময়ের পর কোনো ব্যালট পেপার এলে তা আলাদাভাবে সংরক্ষণ করবেন।

>> ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরও পোস্টাল ব্যালট পাওয়া গেলে তা ভোট হিসেবে গণ্য হবে না।

এমওএস/জেডএইচ/জিকেএস