আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনজুড়ে দফায় দফায় হামলা, দ্রুত সাহায্যের আকুতি কিয়েভের

ইউক্রেনজুড়ে আবারও দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাজধানী কিয়েভ, উত্তর-পূর্বের শহর খারকিভসহ একাধিক অঞ্চলে এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এদিন নয়টি টুপোলেভ টিইউ-৯৫এমএস বোমারু বিমান নিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া। গত ডিসেম্বরের শেষে তীব্র আক্রমণের সময়ও এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল মস্কো। সেবারের হামলায় অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

আরও পড়ুন>> ইউক্রেনে যুদ্ধের ভয় কমাতে বৈধ হচ্ছে গাঁজা সেবন

মঙ্গলবারের হামলার পর এক ভিডিও বিবৃতিতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ২ জানুয়ারি আবারও আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে অন্তত ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। প্রায় ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয় কিয়েভ অঞ্চলে। খারকিভেও ভয়াবহ হামলা হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে প্রতিটি প্রাণহানির জন্য রাশিয়া দায়ী থাকবে।

ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলার মাত্রা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। সাম্প্রতিক আক্রমণ তারই প্রতিফলন। বেসামরিক এলাকা, গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলায় ২০ জন নিহত

মিত্র দেশগুলোর প্রতি কুলেবার বার্তা, আমাদের আরও উন্নত অস্ত্রের প্রয়োজন। ৩০০ কিলোমিটারের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, উন্নত ড্রোন প্রয়োজন। দ্রুত এই সাহায্য পাঠানো হোক।

Advertisement

একইসঙ্গে, রাশিয়ার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার দাবি, পৃথিবীর সব দেশ থেকে রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হোক।

তুরস্কের বাধাএদিকে ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ আটকে দিয়েছে তুরস্ক। যুক্তরাজ্য দুটি মাইনহান্টার যুদ্ধজাহাজ দিয়েছিল ইউক্রেনকে। জাহাজগুলো তুরস্ক হয়ে কৃষ্ণসাগরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। কিন্তু দুটি জাহাজকেই আটকে দিয়েছে আঙ্কারা।

আরও পড়ুন>> রাশিয়ার কাছে আরেকটি বড় শহর হারালো ইউক্রেন

১৯৩৬ সালের চুক্তি অনুসারে, যুদ্ধ চলাকালীন কোনো যুদ্ধজাহাজ কৃষ্ণসাগরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যুদ্ধরত দুই দেশের কাছেই যেন কোনো যুদ্ধজাহাজ পৌঁছাতে না পারে, সেই চুক্তি হয়েছিল ওই কনভেনশনে। ফলে ইউক্রেনের কাছেও কোনো জাহাজ যেতে পারবে না।

তুরস্কের এই পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই খুশি নয় ইউক্রেন। যুক্তরাজ্যও এ নিয়ে তুর্কি সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই জাহাজ ছাড়তে রাজি হয়নি তুরস্ক।

সূত্র: ডয়েচে ভেলেকেএএ/