নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে নিজের পক্ষে ভোট না করায় দলের ১৫ নেতাকে অব্যাহতি দিয়ে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরন।
Advertisement
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতারা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহ, সহ-সভাপতি মাহফুজুল হক বেলাল, সামসুল হক সামসু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন আজীম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোরশেদ আলম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইমাম হোসেন রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক শরাফ উদ্দিন বাবু, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ বি এম ইউসুফ আশিক, চৌমুহনী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সল, সদস্য শাহজাহান সাজু, হায়দার জাফর হাবিব, মেহেদি হাসান টিপু ও দাউদ উল্যা হিল মজিদ।
সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন বলেন, নৌকার লোকজনকে ভোটের দিন পিষে ফেলার হুমকিসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় এসব নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের জেলা ও কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযেদ্ধা ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহ জাগো নিউজকে বলেন, আমাকে অব্যাহতি দেওয়া বা বহিষ্কারের ক্ষমতা এমপি কিরনের নেই। তিনি বিগত ১০ বছর দলের উপর স্ট্রিম রোলার চালিয়ে নেতাদের সমর্থন হারিয়েছেন। এখন তিনি জনসমর্থন হারিয়ে উল্টা পাল্টা আচরণ করছেন। আমরা নৌকার বিরুদ্ধে নয়, তবে প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।
এর আগে কাদিরপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের (ট্রাক) পথ সভায় দেওয়া ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহর একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়। এতে তিনি বলেন, এলাকায় এখনো কিছু কালসাপ আছে। যারা ডান-বাম করছেন। এদেরকে ভোটের দিন পেলে ছেঁচি (পিষে) ফেলবেন।
এ বক্তব্য সম্পর্কে ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহ বলেন, আমি নৌকার বিরুদ্ধে কিছু বলি নাই, এলাকার বিএনপি-জামায়াত নামধারী কালসাপদের ছেঁচি (পিষে) ফেলতে বলেছি। কারণ তারা আগুন সন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তাদেরকে এ সুযোগ দেওয়া হবে না।
নোয়াখালী-৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ কিরন। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে এ আসনে নির্বাচিত হন। তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিনহাজ আহমেদ জাবেদ (ট্রাক) স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সমর্থন নিয়ে মাঠে রয়েছেন।
Advertisement
ইকবাল হোসেন মজনু/এনআইবি/জেআইএম