দেশের উত্তরাঞ্চলের তিন জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ।
Advertisement
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিন আগে যা সৈয়দপুরে ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বেড়ে গেছে অনেকটাই। ভোর থেকে ঢাকার আকাশ ছিল কুয়াশায় ঘেরা। তবে বেলা বাড়তেই কুয়াশা কেটে উঁকি মারে সূর্য।
বুধবার সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Advertisement
বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে অতিঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অতিঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন>> পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৪
এসময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অতিঘন কুয়াশার কারণে দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
দিনাজপুর, পঞ্চগড় এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
Advertisement
বুধবার সকালে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নীলফামারীর ডিমলায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে বলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে বলে অতিতীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার অতিঘন কুয়াশা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে বজলুর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
তবে পরবর্তী পাঁচদিনে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরএমএম/ইএ/জেআইএম