দেশজুড়ে

এক বছরে পদ্মায় পানি কমেছে ১৫ হাজার কিউসেক

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের গঙ্গা-পদ্মা নদীতে পানি বণ্টন চুক্তি অনুযায়ী পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মার হার্ডিঞ্জব্রিজ পয়েন্টে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের পানি পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে। ১ জানুয়ারি ও ২ জানুয়ারি দুদিন হার্ডিঞ্জব্রিজের চার হাজার ফুট উজানে প্রতিনিধি দল পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ ও পরিমাণ করে। ১ জানুয়ারি পানি পরিমাপ করা হয় ৭৫৪০৯ কিউসেক ও ২ জানুয়ারি ছিল ৭২৯৬৯ কিউসেক।

Advertisement

পাবনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক হাইড্রোলজি বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভারতের পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ দলে রয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় জল কমিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অঙ্কিত দুদেজা ও সহকারী পরিচালক মুকেশ কুমার শর্মা। ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতা করছেন পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড আঞ্চলিক হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেনসহ পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

পাবনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক হাইড্রোলজি বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন জানান, ভারতীয় পানি পর্যবেক্ষক দলের দুই প্রতিনিধি দল ১ জানুয়ারি ও ২ জানুয়ারি হার্ডিঞ্জব্রিজ পয়েন্টে পানি পর্যবেক্ষণ করেছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত পানি পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াদুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ভারতের ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানি প্রবাহ পরিমাপ শুরু করেছে। জানা যায়, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জব্রিজ পয়েন্টে পানির পরিমাণ ছিল ৯০৭৩০ কিউসেক। আর ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি পানির পরিমাণ ৭৫৪০৯ কিউসেক। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে পদ্মায় পানি পরিমাণ কমেছে ১৫৩২১ কিউসেক।

জেআরসি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি হার্ডিঞ্জব্রিজ পয়েন্টে পানি পরিমাপ করা হয় ৭৮২৪৪ কিউসেক, ২০২২ সালে ১ জানুয়ারি পানি পরিমাপ করা হয় ১১৮০২০ কিউসেক, ২০২৩ সালে পানির পরিমাণ ছিল ৯০৭৩০ কিউসেক ও ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি পানির পরিমাপ করা হয় ৭৫৪০৯ কিউসেক।

ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের বিশেষজ্ঞরা ১৯৯৬ সালের গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছরই গঙ্গা ও পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে পানির স্তর পরিমাপ করেন। উভয় দেশের পানির প্রবাহের যৌথ পর্যবেক্ষণ চলবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম চক্রে ফারাক্কা পয়েন্টে পানির স্তর ৭০ হাজার কিউসেক বা তার কম হলে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই ৫০ শতাংশ পানি পাবে। দ্বিতীয় চক্রে বাংলাদেশ পাবে ন্যূনতম ৩৫ হাজার কিউসেক বাকি অংশ পাবে ভারত। ফারাক্কা পয়েন্টে পানি প্রবাহ ৭০ থেকে ৭৫ হাজার কিউসেক থাকলে শেষ চক্রে ভারত পাবে ন্যূনতম ৪০ হাজার কিউসেক এবং বাকি পানি পাবে বাংলাদেশ।

শেখ মহসীন/এফএ/জেআইএম

Advertisement