দেশজুড়ে

‘৭ তারিখ পর্যন্ত আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর, পরে আবার আ’লীগ সভাপতি’

নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহকে দল থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন।

Advertisement

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জের বিসিক শিল্পনগরীর নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এমপি কিরন।

তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহ সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে বেগমগঞ্জের কাদিরপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক উঠান বৈঠকে নৌকার সমর্থকদেরকে ভোটের দিন পিষে (ছেঁচি) দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহ জাগো নিউজকে বলেন, আমি নৌকার বিরুদ্ধে কিছু বলি নাই, শুধু বলেছি নৌকার প্রার্থী অযোগ্য। কিন্তু এ কথাটাকে নিজেদের গায়ে নিয়ে ভয় পাচ্ছেন নৌকার প্রার্থী। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, স্বতন্ত্রের পক্ষে জনগণের উচ্ছ্বাস দেখে তারা পাগল হয়ে গেছে।

Advertisement

এছাড়া দল থেকে অব্যাহতি সম্পর্কে এ সভাপতি বলেন, ‘আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার কোনো ক্ষমতা তাদের নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করতে নিষেধ করেননি। আমি ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোক, তবে ৮ জানুয়ারি থেকে আমি আবারও নৌকার পক্ষে আওয়ামী লীগের সভাপতি।’

ভিডিওর বক্তব্য নিয়ে ডা. জাফর উল্যাহ বলেন, আমি এলাকার বিএনপি-জামায়াত নামধারী কালসাপদের ছেঁচি (পিষে) ফেলতে বলেছি। কারণ তারা আগুন সন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তাদেরকে এ সুযোগ দেওয়া হবে না।

নোয়াখালী-৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ কিরন। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে এ আসনে নির্বাচিত হন। তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিনহাজ আহমেদ জাবেদ (ট্রাক) স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে রয়েছেন।

ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/জেআইএম

Advertisement