কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতায় চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারায় আহুত কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হওয়ার পরদিন আবারো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন গ্রামবাসী। মঙ্গলবার গন্ডামারার হাদির পাড়া ও রহমানিয়া মাদরাসা মাঠে সমবেত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান দিয়েছেন- ‘ভিটে বাড়ি ছাড়বো না, বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে না,’ ‘আমার ভাই মরলো কেন প্রশাসন জবাব চাই,’ ‘নাসিরের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান।’ এরআগে সোমবারের ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গতকাল সংঘর্ষের পর তিনজন নিহত হওয়ার কথা শোনা গেলেও আন্দোলনকারীরা বলছেন সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে অন্তত তিন হাজার জনকে। এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বসতভিটা ও কবরস্থান রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী। সমাবেশে বক্তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে পুলিশ জনগণের ওপর গুলি চালিয়ে চার গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে। প্রয়োজন হলে জনগণ আরো রক্ত দেবে, কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে দেয়া হবে না। নিহতদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না।সোমবার বিকেলে এস আলম গ্রুপের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদে বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করেন স্থানীয়রা। এই কর্মসূচি দেয়া হলে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্থানীয় হাজারো নারী-পুরুষ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। সেখান থেকেই পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে হয়। এতে পুলিশের গুলিতে অন্তত তিনজন নিহত হন। জীবন মুছা/এনএফ/এবিএস
Advertisement