আন্তর্জাতিক

একে অপরকে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে চীন-থাইল্যান্ড

একে অপরকে স্থায়ীভাবে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিতে চলেছে চীন ও থাইল্যান্ড। আগামী মার্চ মাস থেকেই এই সুবিধা পাবেন দুই দেশের নাগরিকরা। থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

পর্যটক টানতে গত সেপ্টেম্বরে চীনা নাগরিকদের থাইল্যান্ডে প্রবেশে ভিসার বাধ্যবাধকতা বাতিল করেছিল থাই কর্তৃপক্ষ। তাদের এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক সাড়া দেন চীনা পর্যটকরা। ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়ার প্রথম দুই দিনেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে প্রবেশ করেন ২২ হাজারের বেশি চীনা পর্যটক।

আরও পড়ুন>> ভিসা ছাড়াই থাইল্যান্ড ভ্রমণ করতে পারবেন ভারতীয়রা

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে থাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন আমরা সীমান্ত খুলে দিতে এবং পারস্পরিকভাবে উভয় দেশের পর্যটকদের ভালো যত্ন নিতে প্রস্তুত।

Advertisement

এই সিদ্ধান্ত চীন-থাইল্যান্ড সম্পর্কোন্নয়নের প্রতিফলন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে থাই পাসপোর্টের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে।

মালয়েশিয়ার পর চীন থেকেই সবচেয়ে বেশি বিদেশি পর্যটক পায় থাইল্যান্ড। থাই পর্যটন কর্তৃপক্ষ গত নভেম্বরে জানিয়েছিল, ২০২৩ সালজুড়ে ৩৫ লাখ চীনা পর্যটক পাওয়ার আশা করছে তারা। যদিও তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ৪০ লাখ।

আরও পড়ুন>> পর্যটক টানতে মরিয়া চীন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্যেও সহজ হলো ভিসানীতি

এই সংখ্যাটিও অবশ্য ২০১৯ সালের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। করোনা মহামারির আগে সে বছর প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ চীনা পর্যটক থাইল্যান্ড ভ্রমণে গিয়েছিলেন।

Advertisement

তবে ২০২২ সালে চীন থেকে মাত্র ২ লাখ ৭০ হাজার পর্যটক পেয়েছিল থাই কর্তৃপক্ষ। সেই হিসাবে ২০২৩ সাল তাদের জন্য যথেষ্ট আশাব্যাঞ্জক। ২০২৪ সালে অন্তত ৮২ লাখ চীনা পর্যটক পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে থাইল্যান্ড।

আরও পড়ুন>> ভিসা ছাড়াই চীনে যেতে পারবে যে ছয় দেশের নাগরিক

এ অবস্থায় বন্ধুত্বের প্রতিদান হিসেবে চীনও থাই নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিতে চলেছে। গত নভেম্বরে ইউরোপ-এশিয়ার ছয় দেশের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার ঘোষণা করেছিল বেইজিং। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও মালয়েশিয়া।

গত ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া এই সুবিধা চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে চীন।

সূত্র: বিবিসিকেএএ/