দেশজুড়ে

জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে আবার নির্বাচিত হবো: শামীম

নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে এলাকায় সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। পুলিশি ও প্রশাসনিক হয়রানি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, হানাহানি, কাটাকাটি ও মারামারি থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলাকে মুক্ত করতে পেরেছি। একটা সহাবস্থান রাখতে পেরেছি। সুশাসন ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আবারও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

Advertisement

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে জাগো নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

শামীম হায়দার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী। তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এমপি থাকাকালীন নিজের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সুন্দরগঞ্জে দীর্ঘতম তিস্তা সেতুর কাজ প্রায় শেষের পথে। নদীশাসনের জন্য এক হাজার কোটি টাকার কাজ আনতে পেরেছি। নদী রক্ষা প্রকল্পের কাজ চলমান। বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়ন, হাসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীছাউনি নির্মাণ ও বামনডাঙ্গার জরাজীর্ণ মোহনা পাঠাগারটি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চলমান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহারের জন্য পুলিশকে চারটি গাড়ি দিয়েছি। নদীরক্ষায় তিন হাজার কোটি টাকার ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) প্রণয়ন করা হয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৪০০টি মসজিদ ও ৫০টি মন্দিরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক পদায়ন ও পল্লীবন্ধু হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।’

কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘সময়টা শীতকাল তাই তুলনামূলকভাবে ভোটার একটু কম উপস্থিত হবে। তবে আমরা যেভাবে ক্যাম্পেইন করছি, যেভাবে মানুষের কাছে যাচ্ছি, হাট-বাজারে যাচ্ছি, ভোটারদের বোঝাচ্ছি...এখানে যেহেতু নৌকা মার্কা নেই সেহেতু লাঙ্গল ও নৌকার লোকজন মিলে কেন্দ্রে ব্যাপক ভোটার নিয়ে আসতে পারবো।’

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র ঢেঁকি মার্কার প্রার্থীর সমর্থকরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওপর হামলা করছেন, ভয় দেখাচ্ছেন। তারা উগ্র ভাষায় ভাষণ দিচ্ছেন। একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি অংশ জড়িত আছে। ঢেঁকি মার্কার লোকজন ভোট কেনার চেষ্টা করছেন। তারা একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি নির্বাচন নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছেন বলে আমি সন্দেহ করছি। আমি মনে করি, এখানে সরকারের নজর দেওয়া উচিত। নির্বাচনের পরিবেশ শান্ত রাখার বিষয়টি নজর দেওয়া উচিত।’

এমপি শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘এবার নির্বাচিত হলে সুন্দরগঞ্জে একটা বিশ্ববিদ্যালয় করার ইচ্ছা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে সবাই দক্ষতা বাড়াতে পারবেন, সেখানে অনেকেই চাকরি করবেন। সুন্দরগঞ্জ তথা বাংলাদেশে একটা বড় সমস্যা হচ্ছে বেকার সমস্যা। এমপি নির্বাচিত হলে সংসদে বেকার ভাতা করার জন্য জোর দাবি জানাবো। সেইসঙ্গে দক্ষতার ভিত্তিতে ভাতা ব্যবস্থার জন্য কথা বলবো। যারা চাকরি পাবেন না তারা নার্সিং শিখবেন, ড্রাইভিং শিখবেন, প্যারামেডিক্স বা অন্যকিছু শিখবেন। এর বিনিময়ে তারা দক্ষতা অনুযায়ী ভাতা পাবেন। আমার ইচ্ছা আছে সুন্দরগঞ্জে একটা বিশ্ববিদ্যালয় করে যুবকদের শিক্ষিত করে দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের জন্য পাঠানো।’

Advertisement

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জোটগতভাবে এ আসনে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করলেও একটি পক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পেছনে ছুটছে। তবে জয়ের ব্যাপারে আমি পুরোপুরি আশাবাদী। জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে আবার নির্বাচিত হবো।’

এসআর/এমএস