দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সিগারেট, বিড়ি, গুল, জর্দাসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য বিতরণ ও ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছে তামাকবিরোধী ১৫টি সংগঠন।
Advertisement
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে এই অনুরোধ জানায় সংগঠনগুলো।
এতে বলা হয়, অতীতে প্রার্থী এবং কর্মীদের পক্ষ থেকে প্রচারণাসহ সাধারণ ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে বিড়ি-সিগারেটসহ অন্য তামাকজাত দ্রব্য বিতরণ ও ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। বিগত সময়ের ধারাবাহিকতায় চলমান নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাতেও তামাকপণ্যের ব্যবহার হলে তা জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি তরুণদের মধ্যে তামাকপণ্য সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বর্তমানে দেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তামাক ব্যবহারের কারণে বছরে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। তামাক সেবনে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এছাড়াও মুখ গহ্বর, ফুসফুস, খাদ্যনালীসহ প্রায় ২০ ধরনের ক্যানসারের জন্য দায়ী তামাক।
Advertisement
সার্বিক বিবেচনায় তামাকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে জনসাধারণের সুরক্ষায় চলমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণায় তামাকজাত দ্রব্য বিতরণ/ব্যবহার না করার বিষয়টি প্রার্থীদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হিসেবে যুক্ত করা হলে তা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে একটি যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।
বিবৃতি প্রদানকারী সংগঠনগুলো হলো- প্রজ্ঞা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, এইড ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ডরপ, ডাস, মানস, উন্নয়ন সমন্বয়, বিইআর, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, টিসিআরসি, বিসিসিপি, নারী মৈত্রী এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।
এএএম/আরএএস/কেএসআর/এএসএম
Advertisement