খেলাধুলা

খাজার সাহসের প্রশংসা করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ফিলিস্তিনের মানুষদের সমর্থনে নিজের জুতার মধ্যে শান্তির বার্তা লিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার উসমান খাজা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বাধায় পার্থ টেস্টে সেটি করতে পারেননি এই অসি ওপেনার। পরে প্রতিবাদের ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নিজের হাতে কালো আর্মব্রান্ড পরে খেলতে নেমেছেন খাজা।

Advertisement

এতেও আইসিসির মাথাব্যথা। এই কাজে শেষ পর্যন্ত আইন ভঙ্গের অভিযোগে আইসিসির তিরস্কারের শিকার হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।

দ্বিতীয় ম্যাচে মেলবোর্নে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে আর্মব্রান্ড পরতে পারেননি খাজা। কিন্তু নিজের ব্যাটে শান্তির প্রতিক হিসেবে ঘুঘু ও জলপাই পাতার স্টিকার নিয়ে খেলতে চেয়েছেন এই অভিজ্ঞ ওপেনার। কিন্তু আইসিসির বাধায় সেটিও করতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত জুতায় নিজের দুই মেয়ে আয়েশা ও আয়লার নাম লিখে খেলতে নেমেছেন খাজা।

আইসিসির শাস্তির হুমকির মুখেও নিজের প্রতিবাদী অবস্থান থেকে সরে আসেননি খাজা। বরং ভিন্ন কৌশলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গেছেন তিনি। যে কারণে খাজার সাহসের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্হনি আলবানেস।

Advertisement

সোমবার ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনে খাজার প্রশংসা করে বিবৃতি দেন আলবানেস। তিনি বলেন, ‘আমি খাজাকে তার সাহসের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। তিনি মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সাহস দেখিয়েছেন। তার এমন কাজে দলের সমর্থন পাওয়াটা একটি দারুণ ব্যাপার।’

খাজার বাল্যকালের বন্ধু ডেভিড ওয়ার্নার সিরিজের শেষ ম্যাচ সিডনি টেস্টের মাধ্যমে এই সংস্করণকে বিদায় জানাবেন। যে কারণে আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি দুইজনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ও আবেগের। কারণ এই ম্যাচের পর তাদের দুইজনকে আর একসাথে ব্যাট হাতে খেলার মাঠে দেখা যাবে না। মাঠের সফলতায় একজনকে আরেকজনের সঙ্গে কোলাকুলি কিংবা হ্যান্ডশেক করতে পারবেন না।

দীর্ঘদিন ধরে খাজা ও ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়া দলের টেস্ট ওপেন করেছেন। দুজনের মধ্যে বোঝাপড়াও বেশ ভালো। গতকাল সিডনিতে ম্যাচপূর্ব সম্মেলনে খাজার কথা বলতে এসে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন ওয়ার্নার।

খাজা সম্পর্কে ওয়ার্নার বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে তার দলে ফিরে আসাটা সত্যিই চমৎকার। আমি তার পরিবারকে ভালোভাবেই জানি। আমি সত্যিই তাকে নিয়ে গর্বিত। তাকে সতীর্থ হিসেবে সত্যিই আমি গর্ববোধ করছি।’

Advertisement

আইএইচএস/জেআইএম