ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। এর মধ্যেই দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২২ শতাংশ বেড়েছে। আতঙ্কের বিষয় হলো, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৮০০ এরও বেশি মানুষ, যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
Advertisement
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন মতে, শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে ভারতে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৫২ জন। আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮১৮ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৭ জন।
আরও পড়ুন: ভারতে একদিনের ব্যবধানে দ্বিগুণের বেশি সংক্রমণ, আরও ৪ জনের মৃত্যু
প্রতিবেদন মতে, দৈনিক সংক্রমণ অর্থাৎ সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৪১ জন। যা গত বছরের ১৮ মে তারিখ থেকে দৈনিক সংক্রমণের দিক থেকে সর্বোচ্চ। তাছাড়া ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
Advertisement
এদিকে, রাজ্যগুলোর মধ্যে করোনা সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে কেরালা। তবে সেখানে সংক্রমণ আগের চেয়ে কমেছে। কেরালায় কিছুটা কমলেও অন্যান্য রাজ্যগুলোতে বিশেষ করে কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। রাজ্য দুটিতে দৈনিক আক্রান্ত ১০০ ছাড়িয়েছে। চলতি সপ্তাহে কর্ণাটকে ৯২২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যা গত সপ্তাহের তিনগুণ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে ফের বাড়ছে সংক্রমণ, ভারতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের সপ্তাহের ১০৩ থেকে বেড়ে ৬২০ জনে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের আটটি রাজ্যে জেএন.১ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণের রাজ্য কেরালায় সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, করোনার ওমিক্রন স্ট্রেইনের নতুন ধরন জেএন.১ সারাবিশ্বে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই ভেরিয়্যান্টের কারণে ভারতেও নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। তবে ভারতে জেএন.১ এর সংক্রমণের মাত্রা এখন পর্যন্ত কম। তবে ক্রমেই তা বাড়ছে। অনেকের ধারণা অনুযায়ী, নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কম হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও কম দেখাচ্ছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: ভারতে ৭ মাসে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, আরও একজনের মৃত্যু
মারণঘাতী ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ এর সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওমিক্রনের এই সাবভ্যারিয়েন্টেটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর। ফলে এর সংক্রমণের হারও বেশি। এর ধাক্কায় বিশ্বজুড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে।
সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
এসএএইচ