রাজনীতি

যারা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে তাদের মুখেই গুপ্তহত্যার কথা মানায়

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

Advertisement

এর আগে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, ‘আমরা খবর পাচ্ছি-নির্বাচন ঘিরে সব আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন গুপ্ত হত্যার দিকে যাবে।’

ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্য ক্ষমতাসীনদের গভীর ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার অংশ বলে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘নিজেরা অপকর্ম করে অন্যের ঘাড়ে এর দায় চাপানোর যে রাজনীতি তারা সেটার আবারও পুনরাবৃত্তি করার চক্রান্ত করছে।’

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘বিএনপি নিয়ে ওবায়দুল কাদের যে মন্তব্য করেছেন তা ন্যাক্কারজনক, নিন্দনীয় এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত।’

Advertisement

আরও পড়ুন>>> বিএনপি আরও ভয়ংকর গুপ্ত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে: কাদের

রিজভী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে কারা সন্ত্রাসী কায়দায় সব দল বন্ধ করে, সব সংবাদপত্র বন্ধ করে কথা বলার স্বাধীনতা স্তব্ধ করে বাকশাল করেছিল সে ইতিহাস এ দেশের জনগণ জানে। গুম, গুপ্তহত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঐতিহ্য আওয়ামী লীগের। বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং যারা গুপ্তহত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি করে তাদের মুখেই গুপ্তহত্যার কথা মানায়। সেজন্যই ওবায়দুল কাদের হয়তো তাদের নীলনকশার অংশ হিসেবে গুপ্তহত্যার বিষয়ে আগাম পরিকল্পনাটি বলে ফেলেছেন। তা না হলে তিনি কি করে জানলেন যে, বিএনপি গুপ্ত হত্যা ঘটাবে ?’

বিবৃতিতে রিজভী আরও বলেন, ‘বিএনপির প্রতি দেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই কিন্তু বিএনপি ৪ বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন না থাকলে এটা কীভাবে সম্ভব। আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় যাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাজশাহীতে দুজন চিকিৎসক এক রাতে নিহত হয়েছেন। কুমিল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের জাকির হোসেনকে পুলিশ ধাওয়া করে। পরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। বিএনপির গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ২৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো কারা ঘটিয়েছে? অতএব প্রমাণিত হয় যে, এসব ঘটনা সরকারেরই পরিকল্পনা। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন ঘিরে সরকারের এ ধরনের আরও কিছু জঘন্য পরিকল্পনা থাকতে পারে যেটি তারা কৌশলে বিএনপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে জনমনে বিভ্রান্তির অপচেষ্টা চালালেও প্রকারন্তরে তাতে নিজেদের সর্বনাশা চক্রান্তেরই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় সেটির প্রমাণ পাওয়া যায়।’

Advertisement

রিজভী বলেন, ‘সুতরাং আমরা দেশপ্রেমিক জনগণকে আওয়ামী লীগ সরকারের দূরভিসন্ধিমূলক নীল নকশা গুপ্তহত্যা ও নাশকতার চক্রান্ত সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কেন না সরকার নিজেরাই কোনো না কোনো নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে এগোচ্ছে। এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীসহ সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

কেএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম