নানান আয়োজনে বিশ্ব বরণ করে নিয়েছে ২০২৪ কে। পুরোনো বছরের বিদায়ের বিষাদ ভরা মন, অন্যদিকে নতুন বছরের আগমনের আনন্দ। নানান আয়োজনে বিশ্বের সব দেশেই বর্ষবরণ করা হয়। একেক দেশে এর চিত্র একেক রকম। তবে বিভিন্ন রঙের আলো ঝলমলে দৃশ্য প্রায় সব জায়গায় একই রকম।
Advertisement
কিন্তু জানেন কি নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর অদ্ভুত কিছু নিয়ম রীতি রয়েছে। কোথাও চলে একে অন্যকে চুমু খাওয়ার প্রতিযোগিতা, তো কোথাও আবার পেঁয়াজ ঝোলানো। পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর এমন কিছু রীতিনীতি জানলে অবাক হবেন বৈকি!
ইউরোপইউরোপের দেশগুলোতে বর্ষবরণের আমেজে আতশবাজি ফাটানো হয়, চলে নাচ গান। তবে ইউরোপ জুড়ে একটি বিশেষ ঐতিহ্যও অনুসরণ করা হয়। ৩১শে ডিসেম্বর ঘড়ির কাঁটা ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত সবাইকে চুম্বন করতে দেখা যায়। চুম্বনকে শুভ বলেই মনে করা হয়। ১৭ শতক থেকে এই প্রথা চলে আসছে। পাশাপাশি, এখানে নাচের সময় অনেকে মুখোশ পরে। যা অশুভ আত্মার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। মধ্যরাতে মুখোশগুলো সরানো হয় এবং একটি নতুন বছরের সঙ্গে সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ২ ফুট চওড়া বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পার্ক
Advertisement
আমেরিকা৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আমেরিকার টাইমস স্কোয়ারে গেলে পা রাখার জায়গা পাওয়াই দুষ্কর। লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয় সেখানে বল ড্রপ দেখতে। টাইম ম্যাগাজিনের মতে, এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ এটি টিভিতে দেখে। এবার পারফর্ম করবেন পল আঙ্কা, ফ্লো রিদা, মেগান থি স্ট্যালিয়ন, জেলি রোল, সাবরিনা কার্পেন্টারের মতো বিখ্যাত গায়ক।
ব্রাজিলব্রাজিল এবং অনেক আফ্রিকান দেশে, নববর্ষে সমুদ্র দেবী ইমাঞ্জা বা ইয়েমাঞ্জাকে উৎসর্গ করার একটি ঐতিহ্য রয়েছে। অনেক উপহার কেনা হয় এবং সেগুলোকে নৌকায় তুলে সমুদ্রে ঠেলে দেওয়া হয়। এরপর সাগরের ঢেউয়ে লাফ দেয় মানুষ। এটি বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিটি তরঙ্গের সঙ্গে আগের বছরের ভালো জিনিসগুলো এর সঙ্গে থাকবে। যতক্ষণ না এমনটা না হয়, ততক্ষণ তারা সমুদ্রের দিক থেকে মুখ ফেরান না। কারণ ওই সময় সমুদ্রের দিক থেকে মুখ ফেরানোকে দুর্ভাগ্য বলে মনে করা হয়।
স্কটল্যান্ডেস্কটল্যান্ডে আরেকটি অনন্য ঐতিহ্য রয়েছে, যা হগমানে নামে পরিচিত। এটি বিশ্বাস করা হয় যে নতুন বছরে যে কোনো ব্যক্তির ঘরে প্রবেশের ‘প্রথম পদক্ষেপ’ শুভ হওয়া উচিত। সে কারণেই মধ্যরাতের পর বাড়ির একজন লোক ভেতরে আসে। এই কালো চুলের ব্যক্তি তার সঙ্গে কয়লা, শর্টব্রেড, লবণ, একটি কালো বান এবং হুইস্কি নিয়ে আসে। এটি শুভর প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: নিজের রেকর্ড ভাঙলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঠোঁটের নারী
Advertisement
গ্রিসগ্রিসে নববর্ষের দিনে পরিবারের সবাই গির্জায় যায়। সেখানে প্রার্থনার পর প্রত্যেকে একটি করে পেঁয়াজ পায়। পেঁয়াজটি সুস্বাস্থ্য, উর্বরতা এবং দীর্ঘায়ুর প্রতীক হিসেবে মনে করেন তারা। সবাই তাদের বাড়ির দরজায় এই পেঁয়াজ ঝুলিয়ে রাখেন।
ফিলিপাইনফিলিপাইনে একটি মজার উপায়ে বর্ষবরণ উদযাপন করা হয়। এখানে বিভিন্ন গোলাকার বস্তুকে উত্সবে সামিল করা হয়। কারণ গোলাকারকে সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করেন তারা। ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতের পর পরিবারের প্রত্যেক সদস্য বাড়ি থেকে ১২টি গোল ফল খোঁজে। টাকা পেতে, লোকেরা কয়েন দিয়ে তাদের পকেট ভর্তি করে, বা টেবিলে রেখে দেয়। এটি সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করেন সেখানকার মানুষ।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
কেএসকে/এমএস