দেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে আমদানি নির্ভরতা নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বেসরকারি কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। যৌথ উদ্যোগে দেশীয় কৃষি জমি উপযোগী হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টর প্রস্তুতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অ্যাসেম্বলি লাইনে ব্রি হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টর প্রস্তুতকরণের মাধ্যমে আধুনিক কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ।
Advertisement
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ (এসএফএমআরএ)’ প্রকল্পের অর্থায়নে শনিবার সিলেটে আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাসেম্বলি লাইনে ব্রি হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টর প্রস্তুতকরণের কাজ উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার যান্ত্রিকীকরণ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
Advertisement
প্রকল্প পরিচালক বলেন, বর্তমানে শতভাগ কৃষি যান্ত্রিকীকরণের লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ও অর্থায়নে কৃষকদের মধ্যে সরবরাহের জন্য হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টর চায়না, কোরিয়া, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হচ্ছে। এ ধরনের একটি যন্ত্র বিদেশ থেকে আমদানি করতে ৪০-৪৫ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে যেখানে ব্রি হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টরটি ২২-২৫ লাখ টাকায় প্রস্তুত করা সম্ভব। এছাড়া দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরিকৃত বিধায় যন্ত্রটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ প্রাপ্তিতে সমস্যা হবে না। স্থানীয়ভাবে এই যন্ত্রটি ব্যাপকভাবে তৈরি করা সম্ভব হলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে।
দেশীয় উপযোগী কৃষিযন্ত্রটি অ্যাসেম্বলি লাইন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হলে দেশের কৃষকরা স্বল্প সময়ে, অল্প শ্রম ও খরচে একই সঙ্গে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দি করতে সক্ষম হবেন। প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে এ যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তারা তাদের সময়, শ্রম ও অর্থ সাশ্রয় করতে পারবেন।
এনএইচ/এমএইচআর/এমএস
Advertisement