জাতীয় নির্বাচন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে হাঁস-মুরগি এবং গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি পিস হাঁসে ২০০ টাকা, প্রতি কেজি মুরগিতে ২০-৩০ টাকা ও গরুর মাংসে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
Advertisement
স্থানীয়রা জানায়, বাজারে ৪০০ টাকার পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা। দুই হাজার টাকার রাজহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজারে। ১৭০ টাকার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়, পাকিস্তানি ৩১০ টাকা ও লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়।
জেলার বাহাদুর বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী বিপ্লব ইসলাম বলেন, শনিবার থেকে মুরগির দাম বেড়েছে। সব ধরনের মুরগিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। হাঁসের দামও চড়া।
মজিবর রহমান গ্রামের হাট থেকে হাঁস কিনে বাজারে পাইকারি বিক্রি করে থাকেন। তিনি বলেন, এখন সবাই সচেতন। গ্রামের লোকজনও জানে শীতে হাঁসের চাহিদা বাড়ে। এছাড়া এবার নির্বাচন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটতো রয়েছেই। তাই বেশি দামে কিনে অল্প লাভে বিক্রি করছি। হাত বদলে একেকটি পাতি হাঁসের দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রাজ হাঁসের দাম বেড়েছে প্রতি ৫০০-৬০০ টাকা।
Advertisement
নাজমা ইসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, হাঁসের দাম অনেক বেশি। আবার বানিয়ে নিতে টাকা দিতে হচ্ছে। একজোড়া পাতিহাঁস নিতে খরচ হয়েছে ১৩০০ টাকা।
মুরগি কিনতে আসা পাটুয়াপাড়া মহল্লার জামিল হোসেন বলেন, হাঁসতো কিনলাম ১২০০ টাকা জোড়া। পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
গরুর মাংস কিনতে আসা বালুবাড়ি মহল্লার তোফায়েল আহম্মেদ জুয়েল বলেন, ৬২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন মাংস। তাছাড়া তাদের ডিজিটাল পাল্লাগুলো রেখেছেন দোকানের ভিতরে। সেই পাল্লায় বড় গামলায় মাংস ওজন করছেন। দেখার উপায় নেই তারা ওজন কতটুকু দিচ্ছেন।
এমদাদুল হক মিলন/আরএইচ/জিকেএস
Advertisement