লাইফস্টাইল

২০২৩ সালে কোন কোন রোগে বেশি ভুগেছে মানুষ?

বছর শেষে আসছে নতুন বছর। ফিরে দেখতে গেলে ২০২৩ সালে বিভিন্ন রোগে ভুগেছেন কমবেশি সবাই। তার মধ্যে অন্যতম হলো মশাবাহিত রোগ আর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ।

Advertisement

একই সঙ্গে কমবয়সীদের মধ্যে হার্টের অসুখও বাড়ছে। ২০২৩ আবার শেষ হতে চলেছে কোভিডের আতঙ্ক নিয়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ২০২৩ সালে কোন কোন রোগে বেশি ভুগেছেন মানুষ।

আরও পড়ুন: করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ এর লক্ষণ কী কী?

অ্যাডিনোভাইরাস

Advertisement

২০২৩ সালের শুরুতেই শিশুদের মধ্যে বেড়েছিল অ্য়াডিনোভাইরাসের প্রকোপ। জ্বর-শ্বাসকষ্টজনিত সমস্য়ায় অনেক শিশুই আক্রান্ত হয় এই রোগে। এই রোগের লক্ষণ হিসেবে শিশুরা ভোগে জ্বর, সর্দি, কাশিতে। অ্যাডিনোভাইরাস আক্রান্ত একজন থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়াতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষ করে স্পর্শ ও করমর্দনের মতো শারীরিক সংস্পর্শ, হাঁচি-কাশি, হাত ভালোভাবে না ধুয়ে নাক-মুখ ও চোখে স্পর্শ, আক্রান্ত শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তনের সময়। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের উপসর্গ অনেকটা করোনার মতো সর্দি-জ্বর, গলাব্যথা, তীব্র ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, চোখ ওঠা।

পাকস্থলির প্রদাহের কারণে ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব ও পেটে ব্যথা হতে পারে। এছাড়া মূত্রাশয়ে প্রদাহ, নিউরোলজিক ডিজিস যেমন- ব্রেইন ও স্পাইনাল কর্ডে সমস্যা হতে পারে।

আরও পড়ুন: সাধারণ ঠান্ডা-কাশি নাকি নিউমোনিয়া বুঝবেন যে লক্ষণে

Advertisement

কনজাংটিভাইটিস

প্রতিবছরই মূলত বর্ষার মরশুমে কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ বাড়ে। এক্ষেত্রে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা, চোখ থেকে পানি ও সাদা তরল নিঃসরণের মতো উপসর্গ দেখা যায়।

তবে তা সেরেও যায় -৪ দিনে। তবে এবার কনজাংটিভাইটিসের সংক্রমণ বেড়ে যায়। অনেকেই এ বছর ওচোখ ওঠা বা পিংক-আই সিনড্রোমে ভুগেছিলেন। প্রায় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ।

ডেঙ্গু সংক্রমণ

ইউরোপীয় সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অনুসারে, ২০২৩ সালে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ৮০টি দেশ থেকে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশেও ডেঙ্গু আক্রান্তের গ্রাফ ছিল বেশ আতঙ্কের।

আরও পড়ুন: যে কারণে উৎসবের মৌসুমে হার্ট অ্যাটাক-স্ট্রোকের ঘটনা বাড়ে

শীতের শুরুতেও এবার ভয় ধরিয়েছে সংক্রমণের সংখ্যা। প্রত্য়েক বছর বর্ষায় ভয়াবহ চেহারা নেয় ডেঙ্গু সংক্রমণ। চলতি বছরেও ডেঙ্গু আক্রান্তের পরিসংখ্যান উদ্বেগ তৈরি করেছিল। মৃত্যুও হয় অনেকের।

করোনাভাইরাস

বছর শেষে ফিরেছে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড আতঙ্ক। ২০২০, ২০২১, ২০২২ এরপর এবার ২০২৩। আরও একটা বর্ষবরণের আগে আবারও কোভিড-আতঙ্ক।

এবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১। বিশেষজ্ঞরা এখন থেকেই সতর্ক করছেন সবাইকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: হাতে তীব্র যন্ত্রণা-অসাড়ভাব কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?

২০২০ সালের শুরুতেই আতঙ্ক ছড়ায় করোনার প্রথম ওয়েভ। এবারও সামনে নতুন বছর। এই পরিস্থিতিতে সবাই জানতে চাইছেন কোভিডের এই নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট কতটা মারাত্মক?

তবে ভয়ের কথা শোনাচ্ছেন না চিকিৎসকরা। তবে সতর্ক থাকার কথা বলছেন। আর এই সতর্কতাটুকু সঙ্গী করেই নতুন একটি বছর যেন সুস্থভাবে কাটে, সেই আশাতেই বুক বাঁধছে মানুষ।

জেএমএস/জেআইএম