জাতীয়

‘ইউটিউবকে ওহির মতো বিশ্বাস করতাম, এখন দেখি ৯০ শতাংশই বানোয়াট’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমি যখন প্রথম ইউটিউব দেখতাম, তখন সবগুলো ভিডিওকে ওহির মতো বিশ্বাস করতাম। সত্য মনে করতাম। কিন্তু এখন দেখি এসব ৯০ শতাংশই বানোয়াট।

Advertisement

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের কথা বলার স্বাধীনতা আছে। তারা ভোটকেন্দ্রের প্রকৃত সত্য তুলে ধরবেন। কিন্তু কিছু সোশ্যাল মিডিয়া আছে, যেখানে অপপ্রচার হতে পারে, এটাকে ডিজইনফরমেশন বলে।

আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভোট না হলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব থমকে যেতে পারে

Advertisement

তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা বাগবিতণ্ডা আছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটা অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে। এবার ইউনিভার্সিলি কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। একটা অংশ বলছে আমরা নির্বাচন বর্জন করবো। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করা হয়েছিল, সহিংসতা হয়েছিল। সেজন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও কিছুটা বিতর্ক হয়েছে। নির্বাচনটা সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক ছিল। পরে এটা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হয়। ফলে আমাদের দেশে প্রচলিত নির্বাচন নিয়ে সার্বিক যে গ্রহণযোগ্যতা সেটা অনেকটা ক্ষুণ্ণ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চ্যালেঞ্জের উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এজন্যই এবারের নির্বাচনে যে কোনো মূল্যে আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে, একটি সরকার তার দায়িত্বে থেকে নির্বাচন করতে পারে কমিশনের মাধ্যমে। আমরা নির্বাচনটা আয়োজন করছি। নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়, ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডি এবং সরকার বাধ্য কমিশনকে সহায়তা দিতে। এটা সাংবিধানিকভাবেই সরকার বাধ্য। আবার সরকারের সহায়তা ছাড়া আমরা নির্বাচন করতে পারি না। প্রায় ১৬ লাখ লোক নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত হবেন।

আরও পড়ুন: সরকারের কোনো মন্ত্রীর সার্টিফিকেটে নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হবে না

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আন্তর্জাতিক যে প্রেক্ষাপট, এটাকে মাথায় রাখতে হবে। আমাদের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে, সামাজিক স্বার্থে। এটিকে আমাদের মাথায় রাখতে হবে। নির্বাচনে আপনাদের দৃষ্টিতে কোনো রকম যদি অনাচার ধরা পড়ে এবং সেখানে যদি আপনাদের এখতিয়ার থাকে প্রতিহত করার, তাহলে অবশ্যই বৈধ ক্ষমতা দিয়ে সেটি প্রতিহত করবেন। আমি বিশ্বাস করি, সবার মিলিত প্রয়াসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। দেশে ও বহির্বিশ্বে প্রশংসিত হবে। জনগণের কাছে নির্বাচনটা বিশ্বাসযোগ্য হবে।

Advertisement

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইসি মো. আনিছুর রহমান। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএম/জেডএইচ/জেআইএম