দেশজুড়ে

কংগ্রেস প্রার্থীর গণসংযোগে হামলা, গ্রেফতার দুই ছাত্রলীগ নেতা

নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুকের (ডাব) গণসংযোগে হামলার দায়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চাটখিলের পরকোট ইউনিয়নের দশঘরিয়া বাজারের বাইশসিন্দুর রোডে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে রাতে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, পরকোট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পশ্চিম পরকোট গ্রামের হাবিব আদনান (২৭) ও সেক্রেটারি দশঘরিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম রাফি (২২)। তাদেরকে প্রার্থীর দায়ের করা মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

Advertisement

তিনি বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযান চালায়। প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

হামলার শিকার ডাব প্রতীকের প্রার্থী আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দশঘরিয়া বাজারে গণসংযোগে গেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারির নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ডাব মার্কার কর্মী বেলাল হোসেন (২৪), মো. রাসেল (৩২), মো. সাইমন (১৭) ও মো. নিশাত (২৩) গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। পরে রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

নোয়াখালী-১ আসনে মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এইচএম ইব্রাহিম (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমীন (ঈগল), গণফ্রন্টের মো. খোরশেদ আলম (মাছ), জাসদের হারুন অর রশিদ (মশাল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের (আইএফবি) মো. শাহ আলম (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের (বিআইএফ) মো. মমিনুল ইসলাম (মোমবাতি), তরিকত ফেডারেশনের একেএম সেলিম ভূঁইয়া (ফুলের মালা) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক (ডাব)। এরমধ্যে দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রশ্নে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমীনের প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আদালতে শুনানি রয়েছে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/জেআইএম

Advertisement