আন্তর্জাতিক

গাজায় লড়াই আরও কয়েক মাস চলবে: নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, মিশরের সঙ্গে গাজার সীমান্ত ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। শনিবার তিনি আভাস দিয়েছেন যে, ফিলিস্তিনি এই উপত্যকা এবং অন্যান্য স্থানে লড়াই আরও কয়েক মাস চলতে পারে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

Advertisement

এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, গাজার ক্ষমতাসীন হামাস সংগঠনের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই ১৩ সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর লড়াই শুধু ওই অঞ্চলেই নয় বরং তা লেবানন, সিরিয়া, ইরাক এবং ইয়েমেনকেও জড়িয়ে ফেলেছে।

আরও পড়ুন: বিক্ষোভে উত্তাল তেল আবিব/ নেতানিয়াহুকে কারাগারে পাঠানোর দাবি

এখন এসব দেশের সঙ্গেও ইসরায়েলের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। নেতানিয়াহু বলেন, দ্য ফিলাডেলফি করিডর এবং আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে থাকা উচিত।

Advertisement

ইসরায়েল বলছে, আর যেন ৭ অক্টোবরের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য গাজা থেকে হামাসকে পুরোপুরি নির্মূলের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে ১২০০ জন নিহত হয়।

এর প্রতিশোধ নিতে গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল যা এখনও চলমান রয়েছে। হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে ইসরায়েলি সেনারা।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ২১ হাজার ৬৭২ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৫৬ হাজার ১৬৫ জন।

এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে কারাগারে পাঠানোর দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে তেল আবিব। শনিবার রাতে হাবিমা স্কয়ারে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। সে সময় তারা দুর্নীতির অভিযোগে নেতানিয়াহুকে বিচারের মুখোমুখি করা এবং হামাসের হাতে জিম্মি থাকা বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে গাজার মানুষ: জাতিসংঘ

দ্য মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টের বাইরে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হামাসের কাছে জিম্মি থাকা বন্দিদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। তারা এসব জিম্মিদের মুক্ত করে আনার বিষয়ে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান।

টিটিএন