আন্তর্জাতিক

নেতানিয়াহুকে কারাগারে পাঠানোর দাবি

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে কারাগারে পাঠানোর দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে তেল আবিব। শনিবার রাতে হাবিমা স্কয়ারে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। সে সময় তারা দুর্নীতির অভিযোগে নেতানিয়াহুকে বিচারের মুখোমুখি করা এবং হামাসের হাতে জিম্মি থাকা বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দ্য মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টের বাইরে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হামাসের কাছে জিম্মি থাকা বন্দিদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। তারা এসব জিম্মিদের মুক্ত করে আনার বিষয়ে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান।

Advertisement

আরও পড়ুন: খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে গাজার মানুষ: জাতিসংঘ

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় আরও ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। সম্প্রতি হামাস এবং ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ফলে এক সপ্তাহের ওই বিরতিতে বেশ কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। ইসরায়েলও একই সময়ে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।

সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। অপরদিকে ইসরায়েলি যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভা জানিয়েছে যে, বন্দি বিনিময় চুক্তির পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনা করতে রোববার বৈঠকে বসবে। এসব খবর সামনে আসার পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়।

Advertisement

এদিকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান জুলিয়েট তৌমা জানিয়েছেন, গাজার অনেক বাস্তুচ্যুত নাগরিকই এখন খোলা আকাশের নিচে, পার্কে দিন কাটাচ্ছেন। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক সময়ে মিশরের সীমান্তবর্তী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে কমপক্ষে এক লাখ মানুষ পালিয়ে গেছে।

ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, জাতিসংঘকে সীমিত সহায়তা সরবরাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জুলিয়েট তৌমা বলছেন, গাজায় দিন দিন মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়ছে। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় যেসব এলাকায় আমাদের প্রবেশ করা উচিত সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে ইসরায়েলের দাবি, তারা মানবিক সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা আরোপ করেনি। বরং, এটি সংস্থাটির বিতরণের সমস্যা।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। বাড়ি-ঘর, স্থাপনা, আবাসিক এলাকা, এমনকি হাসপাতাল, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাও হামলা থেকে বাদ পড়ছে না। গাজার কোনো জায়গাই এখন আর ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ নয়।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত

Advertisement

হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ২১ হাজার ৬৭২ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৫৬ হাজার ১৬৫ জন।

টিটিএন