নির্বাচনী প্রচারণায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাকে অস্বীকার করে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, আজকের ঘটনা ভালোবাসার বাড়াবাড়ি। একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই শনাক্ত করা যায়নি এবং কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সেটিও জানেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জানান।
ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আমরা যখন মিছিল করে যাচ্ছিলাম তখন আমি একটি বাসায় লিফলেট দেওয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশ করি। এর মধ্যে মিছিলের শেষদিকে অতর্কিত এসে কে বা কারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের কাউকে আমরা অ্যাড্রেস (শনাক্ত) করতে পারিনি। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যারা এটা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন একটি চক্র চায় না শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আমি এতদিন ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছি, সেখানে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। সব জায়গায় সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। আজকের ঘটনা আমার কাছে মনে হচ্ছে পুরোটাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে। কারণ আমার সঙ্গে যেসব ছেলেরা রয়েছে তাদের সবাইকে আমি বলেছি, আমরা এখানে এসেছি মানুষের সেবা করতে, সেখানে আমরা যেন কারও বিড়ম্বনার কারণ না হই।
Advertisement
আরও পড়ুন>> ফেরদৌসের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ
ফেরদৌস বলেন, জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমি কাজ করতে গিয়ে কখনো রাস্তা ব্লক করি না, বড় শোডাউন করি না। আমি সবজায়গায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, উঠান বৈঠক করছি।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, মিছিলের শেষদিক থেকে কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সেটি আমরা জানি না। এটা এক ধরনের অপরাজনীতি। আমরা আগেও দেখেছি একটি পক্ষ হরতাল-অবরোধ দিয়ে আমাদের দেশকে স্থবির করার চেষ্টা করেছে। তারা যখন পারছে না তখন বাস-ট্রেনে আগুন দিচ্ছে। এমন ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কারণেই এমন ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা হয়নি। আমি এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেবো। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছি। স্থানীয় থানা পুলিশ সবাইকে জানিয়েছি। এ ঘটনার যথাযথ শাস্তি চাই আমি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কারণ এ ধরনের কার্যক্রম আমার নির্বাচনী কাজ বাধাগ্রস্ত করবে। আমার ইচ্ছা আমি শান্তিপূর্ণভাবে সব কাজ সম্পন্ন করবো।
Advertisement
এর আগে এদিন দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে সেন্ট্রাল রোডে ফেরদৌসের প্রচারণায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ফেরদৌসের গণসংযোগ ছিল। এসময় সেন্ট্রাল রোডে প্রয়াত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর মেয়ের বাসায় যান তিনি। এসময় নিচে থাকা ১৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যরা কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
পরে ঘটনাস্থলে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সমন্বয়ক টিমের সদস্যসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল ঘটনার মীমাংসা করে দেন।
এদিকে ফেরদৌসের প্রচারণায় সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা-১০ আসনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার এহসানুল কবীর ফেরদৌস জাগো নিউজকে বলেন, আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মৌখিকভাবে জেনে আমাদের ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটিকে বলেছি লিখিতভাবে জানাতে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিক অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিয়েছে।
এনএস/ইএ