খেলাধুলা

বছরের শেষ দিন কি হবে নতুন ইতিহাস?

টাইগারদের সামনে নতুন ইতিহাস গড়ার হাতছানি। আগামীকাল রোববার মাউন্ট মুঙ্গানুইতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতলেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ বিজয়ের অনন্য কৃতিত্ব অর্জিত হবে।

Advertisement

নাজমুল হোসেন শান্তর দল কি সাফল্যের নতুন ইতিহাস গড়তে পারবে? তা দেখতে মুখিয়ে কোটি বাংলাদেশ ভক্ত-সমর্থক। সবার চোখ মাউন্ট মুঙ্গানুইতে স্থির হয়ে আছে।

ইংরেজি বছরের শেষ দিনের সূর্য ওঠার আগে ভোর ৬ টায় শুরু হবে বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। জিতলেই সিরিজ হয়ে যাবে টাইগারদের। হারলেও সিরিজ খোয়াবে না শান্তর দল, ১-১ সমতায় শেষ করবে।

আর গতকাল শুক্রবারের ম্যাচের মত শেষ ম্যাচটিও যদি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে ১-০‘তে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশই হবে সিরিজ বিজয়ী।

Advertisement

এ সফরে এরই মধ্যে দু দুটি নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আগে কখনই সাদা বলে জয়ের রেকর্ড ছিল না টাইগারদের। এবার নেপিয়ারেই সে দুটি সাফল্য ধরা দিয়েছে।

প্রথম ২ ম্যাচে হেরে নেপিয়ারে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে কিউইদের মাত্র ৯৮ রানে অলআউট করে ৯ উইকেটের দারুণ জয় পেয়েছে শান্তর দল।

তারপর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেই নেপিয়ারে ল্যাথামের দলকে মোটে ১৩৪ রানে আটকে দিয়ে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

সে দুই জয়ের পর গতকাল মাউন্ট মুঙ্গানুইতে সিরিজ বিজয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টির বাধায় সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। এক ইনিংসও পুরো শেষ করা যায়নি। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের অর্ধেক যেতেই নেমে আসে বৃষ্টি। পরিত্যক্ত হওয়ার সময় স্বাগতিকদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৭২ (১১ ওভারে)।

Advertisement

তবে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও বাংলাদেশের খেলা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও বেশ আশা জাগানিয়া ছিল। দুই পেসার শরিফুল ইসলাম আর তানজিম সাকিব একটি করে উইকেট পান।

শরিফুল শুরুতেই কিউই ওপেনার ফিন এলেনকে (২) ফিরিয়ে দেন। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা টিম শেইফার্টকে (২৩ বলে ৪৩) আউট করেন পেসার তানজিম সাকিব।

উইকেট পেলেও পেসার শরিফুল (২ ওভারে ১/১৬) আর তানজিম সাকিব (২ ওভারে ১/১৫) ওভারপিছু যথাক্রমে ৮ ও সাড়ে ৭ রান দিয়েছেন। অপর পেসার বাঁহাতি মোস্তাফিজুর রহমানের ২ ওভারেও ১৬ উঠেছে।

নেপিয়ারে বোলিং শুরু করেই চমক উপহার দেওয়া অফস্পিনার শেখ মেহেদী হাসান এদিন আর শুরুতে সাফল্য পাননি। ২ ওভার বল করে ১৬ রানে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি।

তবে উইকেট না পেলেও দুর্দান্ত বোলিং করেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। তার বলে একদমই হাত খুলে খেলতে পারেনি কিউইরা। লেগি রিশাদের বলে রান করতে খুব কষ্ট হয়েছে তাদের। রিশাদের ৩ ওভারে রান উঠেছে মোটে ১০।

আগামীকাল রোববার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তরুণ লেগি রিশাদের কাছ থেকে অমন মাপা ও সুনিয়ন্ত্রিত স্পেলের আশায় টিম বাংলাদেশ।

ইনজুরি কারণে এ সিরিজে নেই এবাদত হোসেন। তবে তার সেই বোলিং স্পেল উজ্জীবিত করতে পারে শরিফুল-মোস্তাফিজদের। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এই মাউন্ট মুঙ্গানুইতেই এবাদত ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং স্পেলে (৬/৪০) টেস্ট জিতিয়েছিলেন দলকে।

দেখা যাক শরিফুল, মোস্তাফিজ আর তানজিম সাকিব এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেই ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারেন কিনা!

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম