চলতি বছর বিদেশগামীকর্মীর সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়াবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
Advertisement
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় প্রবাসী দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আমাদের খুব ছোট পরিবার। কিন্তু ছোট পরিবার হলেও আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা পরিবেশ আছে। কাজে কিন্তু কোনো সমস্যা নাই। অর্থনৈতিক ফুটপ্রিন্ট হিসেবে এই মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা আছে। প্রবাসে মাইগ্রেন্ট যে শ্রমিক রয়েছে তাদের কন্ট্রিবিউশানের কারণে দেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে সচল আছে। এ কথাটা আমাদের বারবার মনে করতে হয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ২৫২ বাংলাদেশি আটক
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, প্রবাসী দিবসের আইডিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। বাস্তবায়ন করেছে আমাদের মন্ত্রণালয়। এভাবেই কিন্তু আমরা আমাদের কাজগুলো বাস্তবায়ন করছি। প্রবাসে যারা আছেন তাদের কিন্তু দূতাবাসেই যেতে হয়। দূতাবাস ছাড়া ওদের আর কোনো জায়গা নাই। দূতাবাসে যেসব লোকজন আছে তাদের সহযোগিতার জন্যই আমরা বিদেশে কাজ করতে পারছি এবং তারাও যে সেবা পাওয়ার কথা সেটি পাচ্ছেন। কিছু কিছু অভিযোগ মাঝে মাঝে আসে কিন্তু সেটি তো থাকবেই। অভিযোগ থাকলেও তার সমাধানও হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ১৭১ বাংলাদেশি বৈধকর্মীকে আটক করায় নিন্দা এমটিইউসির
তিনি আরও বলেন, গত বছর ১১ লাখ মানুষ গেছে। এ বছর এখন পর্যন্ত যে অবস্থা আছে আমরা ধারণা করছি ১২ লাখের ওপরে চলে যাবে। আমার বিশ্বাস আগামী বছরও রেকর্ড হবে। সারা বিশ্বে চাহিদা কমছে না, বরং বাড়ছে। আমরা দক্ষতার জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আমাদের কিন্তু দক্ষ লোকই পাঠাতে হবে। রিক্রুটিং যে এজেন্সি আছে তাদের সহায়তা ছাড়া সরকার এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে বিদেশিকর্মী নির্ভরতা কমাবে মালয়েশিয়া
Advertisement
১১ লাখ মানুষ গেলেও রেমিট্যান্স সে হিসাবে বাড়েনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রেমিট্যান্স না বাড়ার কারণে এই মন্ত্রণালয়ের ওপর অভিযোগ করা যাবে না। আমাদের কাজ লোক পাঠানো। আর রেমিট্যান্স আনার দায়িত্ব অর্থ মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ ব্যাংকের। আমরা আমাদের কাজ করছি, তারা তাদের কাজ করলে আশা করি রেমিট্যান্স বেড়ে যাবে। দক্ষতার ওপর আমাদের জোর দিতে হবে। সেটি কিছুটা হয়েছে। ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে বাড়তি নজর দিতে হবে। রিক্রুটিং এজেন্সির ট্রেনিংয়ের সাথে সরকারি ট্রেনিংয়ের মধ্যে সমন্বয় না হলে সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের দক্ষ জনবল থাকলে সবাই আসবে জনবলের জন্য।
আরও পড়ুন: ইউরোপে অনিয়মিত অভিবাসনে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশিরা
নতুন শ্রমবাজারের অভাব নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই মন্ত্রণালয়ই প্রথম ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে গেছে। ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসীরা সেবা পাচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু অনলাইন হলে স্বচ্ছ হবে কাজগুলো। যতো স্বচ্ছ হবে ততো অনিয়ম কমে আসবে।
আইএইচআর/এমআরএম/এমএস