কারো যদি বিয়ের মোহর অনাদায়ী থাকে এবং সে ওই সময়ই মোহর আদায়ের উদ্দেশে কিছু সম্পদ আলাদা করে অথবা স্ত্রীকে দিয়ে দেয়, তাহলে ওই সম্পদের জাকাত দিতে হবে না। অর্থাৎ ওই সম্পদ বাদ দিয়ে জাকাতের হিসেব করতে হবে। কিন্তু মোহর অনাদায়ী থাকার পরও তার যদি ওই সময় মোহর আদায়ের ইচ্ছা না থাকে, তাহলে মোহরের পরিমাণ অর্থ জাকাতের হিসেব থেকে বাদ পড়বে না। বরং জাকাতের হিসাব করার সময় তার হাতে থাকা জাকাতযোগ্য সব সম্পদের জাকাত দিতে হবে।
Advertisement
জাকাত ইসলামের পাঁচ রোকনের একটি। প্রত্যেক সম্পদশালী মুসলমানের অন্যতম ফরজ কর্তব্য হলো, প্রতি বছর তার বর্ধনশীল সম্পদের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ দান করে দেওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِندَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
আর তোমরা নামাজ কায়েম কর ও জাকাত দাও এবং যে নেক আমল তোমরা নিজদের জন্য আগে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা করছ নিশ্চয় আল্লাহ তা দেখেন। (সুরা বাকারা: ১১০)
Advertisement
শরিয়ত নির্ধারিত সীমা অর্থাৎ সাড়ে সাত ভরি সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার বেশি সম্পদ হিজরি ১ বছর ধরে কারো কাছে উদ্বৃত্ত থাকলে তাকে সম্পদশালী গণ্য করা হয় এবং তার বর্ধনশীল সম্পদের ২.৫ শতাংশ বা ১/৪০ অংশ দান করতে হয়।
ওএফএফ/এমএস