জুমার দিন জুমার নামাজের প্রস্তুতি হিসেবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে ভালোভাবে গোসল করা সুন্নত। আল্লাহর রাসুল (সা.) জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলোর মধ্যে গোসল অন্তর্ভুক্ত করেছেন। রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যাক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর মসজিদে যায়, মানুষকে ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকে, তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ নামাজ আদায় করে, ইমাম যখন খুতবার জন্য বের হন তখন চুপ থাকে, তার এ জুমা এবং পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ৯১০)
Advertisement
আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা: ৮৩)
জুমার দিন কোন সময় গোসল করলে এ সুন্নত আদায় হবে এ ব্যাপারে ফকিহগণ বলেন, জুমার প্রস্তুতি হিসেবে এমন সময় গোসল করা উত্তম যেন ওই অজু-গোসল দিয়েই জুমার নামাজ আদায় করা সম্ভব হয়। অর্থাৎ জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে যে সময় মানুষ মসজিদে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়, ওই সময়টিই জুমার দিনের গোসল করার সঠিক সময়।
তবে বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী জুমার নিয়তে দিনের প্রথম ভাগে গোসল করলেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। আবার গোসল করার প্রয়োজন হবে না।
Advertisement
ওএফএফ/জিকেএস