চলতি বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়েছে আসছে ইসরায়েল। এতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। বসবাস করছেন খোলা আকাশের নিচে।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে সব ধরনের ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশটির তত্তাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-কাকর বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন>বিজেপিকে রাজাকারের সঙ্গে তুলনা করলেন মমতা ব্যানার্জী
পাকিস্তান শুরু থেকেই ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক ফোরামে।
Advertisement
এক টেলিভিশন ভাষণে কাকর বলেন, পাকিস্তানের মানুষ দুঃখের মধ্যে আছে। সুতরাং পরিস্থিতি মাথায় রাখা উচিত। তাই পাকিস্তান সরকার নতুন বছর উদযাপন সম্পর্কিত সব অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে।
গাজায় ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কাকর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন>লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা
গাজার মধ্যাঞ্চলে স্থল অভিযান আরও বিস্তৃত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে গাজার মধ্যাঞ্চল ও খান ইউনিস থেকে পালাচ্ছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। কিন্তু গাজার কোনো স্থানই এখন নিরাপদ নয়। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাও ইসরায়েলি আগ্রাসনের কবলে পড়ছে।
Advertisement
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৫৫ হাজার ২৪৩ জন।
সূত্র: জিও নিউজ
এমএসএম