রাশিয়ার কাছে আরেকটি প্রধান শহর হাতছাড়া হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের শহর মারিংকা দখলের দাবি করে রাশিয়া। তার একদিন পরেই সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় বিষয়টি নিশ্চিত করলেন ইউক্রেনের সেনাপ্রধান।
Advertisement
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় মারিংকা দখলের জন্য ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে চাচ্ছিল রাশিয়া। অবশেষে শহরটির শতভাগ নিয়ন্ত্রণ পেলো তারা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যুদ্ধের ভয় কমাতে বৈধ হচ্ছে গাঁজা সেবন
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করলে এই মারিংকাতেও যুদ্ধ শুরু হয়। এখান থেকে দনেৎস্কের রাজধানী দনেৎস্ক শহরের দূরত্ব একেবারে কম হওয়ায় মারিংকার কৌশলগত গুরুত্ব অনেক। এ শহরে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল ইউক্রেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের সেনাপ্রধান বলেন, বেশ কয়েকমাস ধরেই মারিংকা শহর কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মদ্যে চরম যুদ্ধ চলছিল। শহরটি রক্ষায় ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধকে বাখমুত যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। এ বছরের প্রথম দিকে বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত কোনো শান্তি নয়: পুতিন
জালুঝনি বলেন, মারিংকাতে যা হয়েছে, তা পুরোপুরি বাখমুত যুদ্ধের মতো ছিল। প্রতিটি গজ জায়গার জন্য যুদ্ধ হয়েছে। এখানে আমাদের সেনাদের অবস্থা বাখমুতের মতোই হয়েছে ও শেষ পর্যন্ত আমাদের পিছু হটতে হয়েছে। আমরা এখন মারিংকা শহরের বাইরে অবস্থান নিয়েছি। দুঃখজনক হলেও যুদ্ধ এমনই।
এর আগে সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু ঘোষণা করেছিলেন, মস্কোর সেনারা মারিংকাকে পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ২০১৪ সালে পূর্ব ইউক্রেনের বিশাল একটি এলাকা রুশপন্থি স্থানীয়রা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
Advertisement
আরও পড়ুন: অধিকৃত ৪ ইউক্রেনীয় অঞ্চলেও হবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
পূর্ব ইউক্রেনের দনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের রাজধানী শহর ছিল রুশপন্থীদের দখলে। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এসব অঞ্চলে বসবাসকারী রুশপন্থীদের লক্ষ্য করে হামলা চালাতে শুরু করে ইউক্রেন। এই মারিংকা শহর থেকেই এসব হামলা চালাতো ইউক্রেন বাহিনী।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, ডয়েচে ভেলে
এসএএইচ