এইডস নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রথম টার্গেট এই ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
Advertisement
তিনি বলেন, এইডস শনাক্তের হার ৯৫ শতাংশ হলে আমাদের সফলতা আসবে। আমাদের শনাক্তের হার এখন ৭৫ শতাংশ। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। বাকি ২৫ শতাংশ এই রোগ বহন করছে এবং তাদের থেকে ছড়াচ্ছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে এইডস দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আহমেদুল কবির বলেন, একজন রোগীকে শনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আনতে পারাটাই হচ্ছে সফলতা। রোগী এই রোগ থেকে মুক্ত হবে সেটা বিষয় না। রোগী শনাক্ত হলেই এইডস ছড়ানো বন্ধ হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, এইডস আক্রান্তদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ। সরকার বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। সরকার ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, এনজিওগুলো এইডস নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে। তাও এই রোগ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমাদের দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সার্জারির সময় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বারবার ব্যবহার করা হয়, এ থেকেও এই রোগ ছড়ায়। জনস্বার্থ বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রচারে গণমাধ্যমে মূল্যহার কমানো বা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।
Advertisement
ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর) উপদেষ্টা, ডা. আবদুর নুন তুষার বলেন, আমাদের বিজ্ঞাপনে মাদক নেওয়ার সিন দেখানো হয়। এসব না দেখানো উচিত। এসব দেখে অনেকে উৎসাহিত হয় এবং মাদক নেওয়ার কৌশল রপ্ত করে। এইডস নিয়ন্ত্রণ গ্লোবাল এইডস স্ট্যাটেজি ২০২১ থেকে ২০২৬ চলমান।
মো. সাইদুর রহমান বলেন, এইডস সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষ জানতে পারে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সময়। তখন এইডসের পুরো মিনিং জানতে হয়। এছাড়া এইডস নিয়ে আর কোনো প্রচারণা নেই, এটা আমাদের বড় একটা ঘাটতি। দেশের সব হাসপাতালে এইডসের চিকিৎসা নেই, বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালও নেই।
এএএম/এমআরএম/জিকেএস
Advertisement