দেশজুড়ে

নৌকার পক্ষে প্রচারণায় শিক্ষক দম্পতি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নেওয়ার বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এটি বাস্তবায়নের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে এ ইসির এ নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন সিরাজগঞ্জের এক শিক্ষক দম্পতি।

Advertisement

সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর-সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের প্রচারণায় নেমেছেন তারা। এ শিক্ষক দম্পতি হলেন কাজীপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের রাজবাড়ি দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহানা খাতুন ও মেওয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক গোলাম রব্বানী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জাগো নিউজকে বলেন, ‘গোলাম রব্বানী ও তার স্ত্রী শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক না। গোলাম রব্বানী খাসরাজবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার স্ত্রী রেহেনা খাতুন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্যও তারা।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, এ শিক্ষক দম্পতি চরাঞ্চলের খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্ৰামে মিছিল, উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন।

Advertisement

এ বিষয়ে শিক্ষক গোলাম রব্বানী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছিলাম। তবে একজন শিক্ষক হিসেবে এটা যে করা যাবে না তা আমার জানা ছিল না।’

তার স্ত্রী রেহেনা খাতুন শিক্ষকতার পাশাপাশি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ উপজেলায় এমন অনেকেই রয়েছেন।

কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইসির কড়া নির্দেশ রয়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। আর একজন সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দলীয় পদে থাকারতো প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Advertisement

এম এ মালেক/এসআর/এমএস