ঝুলন্ত মায়ের পা ধরে কাঁদছে অবুঝ শিশুটি। সে জানে না তার মা বেঁচে নেই। ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপুর গ্রামে ঘটেছে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়েত প্রবাসী আবু বক্কর সিদ্দিক ইয়ামিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণার (২০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ যৌতুকের জন্য স্বর্ণাকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার দিনগত রাতে স্বর্ণার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। বাহির থেকে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে শাশুড়ী হোসনে আরা বেগম স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে পুলিশ ও স্বর্ণার পরিবারকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে খাটের উপর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এসময় স্বর্ণার পা খাটের সঙ্গে লাগানো ছিল এবং তার দুইবছর বয়সী কন্যা রুপা মায়ের পা ধরে চিৎকার করে কাঁদছিল।
নিহতের ভাই ইয়াসিন জানান, চারমাস আগে স্বর্নার স্বামী বাড়িতে এসে দুইলাখ টাকা দাবি করেন। তারা ৫০ হাজার টাকা দিলেও সে নিয়মিত তার বোনকে নির্যাতন করতো। পরে ৮ আগষ্ট সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর আমলী আদালত ফেনীতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলাও করা হয়।
Advertisement
তিনি আরও জানান, রাতে স্বর্না ফোন দিয়ে ‘আমাকে বাঁচান, আমাকে বাঁচান’ বলে ফোন কেটে দেয়। সকালে গিয়ে তাকে দেখে আসবেন বললেও পরে তার মৃত্যুর খবর পান।
তিনি বলেন, আমার বোনকে যৌতুকের দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। স্বর্ণার পা খাটের সঙ্গে লাগানো ছিলো।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এনআইবি/এএসএম
Advertisement