জাতীয়

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে ভয়ের কিছু নেই

আঙ্গুলের ছাপ তথা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনে ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে নাগরিকদের কোনো হয়রানি বা ক্ষতি হবে না বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আঙ্গুলের ছাপের কেউ অপব্যবহার করলে মোবাইল অপারেটরদের ৩০০ কোটি টাকা জরিমানারও সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ‘মিথ্যা’ প্রচারণা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। সেখানেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের বিষয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করা হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে কারো মধ্যে যাতে সংশয় না থাকে এজন্য মন্ত্রিসভার কোনো কোনো সদস্য বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। বলা হয়েছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চারটি আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে এ চারটি ছাপ আমাদের এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) তথ্য ভাণ্ডারে সংরক্ষিত আছে। এখন যে ছাপ নেওয়া হচ্ছে তা ওই ছাপের সঙ্গে ম্যাচিং (মেলানো) করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ম্যাচিং করার পর এগুলো (আঙ্গুলের ছাপ) অটোম্যাটিক্যালি অকার্যকর হয়ে যাবে। ম্যাচিং করার সঙ্গে সঙ্গে সেখান (এনআইডি সার্ভার) থেকে একটি কোড নম্বর দিয়ে বলা হবে এটা ঠিক আছে। সিমের রেজিস্ট্রেশন শেষ হলে তারা রি-কনফার্ম করে বিষয়টি জানিয়ে দেবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, ‘এটুকুই কাজ। এটার জন্য নাগরিকদের কোনো হয়রানির শিকার হওয়া বা তাদের এ ফিঙ্গার প্রিন্ট অন্য কোনো কাজে লাগানো বা তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে টানাটানি করা- এ ধরণের কোনো সমস্যা হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।’ তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভা বলেছে, ভয়ের কিছু নেই। আমরাও এ ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েছি। এ ফিঙ্গার প্রিন্টের কারণে কারো কোনো ক্ষতি হবে না।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটার যদি মিস ইউজ (অপব্যবহার) হয় তবে এটার জন্য বড় শাস্তি আছে- তিনশ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। কাজেই ওই রিস্ক তারা (মোবাইল ফোন অপারেটর) নেওয়ার তো কোনো কারণ নেই। তাদের স্বার্থও বা কি?’ এদিকে গত ১৬ ডিসেম্বর দেশে আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, এ আঙ্গুলের ছাপ বিদেশিদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে পরবর্তী সময়ে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এসএ/এমএম/একে/পিআর

Advertisement