শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন শুনানিতে বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হলেও তিনি কোনো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
Advertisement
এসময় তিনি সম্মানে ড. ইউনূসের খালাস দাবি করেন। ইউনূসের আইনজীবী বলেন, এগুলো হচ্ছে সিভিল অপরাধ। তারপরও ক্রিমিনাল অফেন্স আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কলকারখানা অধিদপ্তরে মামলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করতে আর্জি জানানো হয়েছে আদালতে।
এরপর ইউনূসের মামলায় কলকারখানা অধিদপ্তরের আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। এসময় তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের সর্বোচ্চ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
যুক্তিতর্কর সময় আদালতে উপস্থিত রয়েছেন ড. ইউনূস। মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খানের পর দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
Advertisement
এর আগে এর আগে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়।
তখন বিচারক বলেন, আজ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ করার দিন।
এরপর দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিরতি দেওয়া হয়। বিরতির পর আবারও শুরু হয় যুক্তিতর্ক। সন্ধ্যার পরও আরেক দফায় বিরতি দিয়ে চলে যুক্তিতর্ক।
ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন শুনানি করছেন। তিনি বলেন, আমরা শুনানি শেষ করার চেষ্টা করবো।
Advertisement
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ড. ইউনূস তার আইনজীবীসহ আদালতে হাজির হন।
এর আগে এ মামলায় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শ্রম আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
৬ নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন আদালত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চার আসামির ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন রাখেন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।
এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম