আইন-আদালত

ড. ইউনূসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান কলকারখানা অধিদপ্তরের আইনজীবী

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার পর কলকারখানা অধিদপ্তরের আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেছেন। সাড়ে ৬টার দিকে মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।

Advertisement

কলকারখানা অধিদপ্তরের আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। এসময় তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের সর্বোচ্চ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। 

এর আগে এশার নামাজের আযানের সময় কয়েক মিনিট বিরতিতে যান। সন্ধ্যার পরও আদালত কক্ষে বসে আছেন ড. ইউনূস।

এর আগে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। তখন বিচারক বলেন, আজ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ করার দিন।

Advertisement

এরপর দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিরতি দেওয়া হয়। বিরতির পর আবারও শুরু হয় যুক্তিতর্ক। সন্ধ্যার ১৫ মিনিট এশার পরও আরেক দফায় বিরতি দিয়ে চলে যুক্তিতর্ক।

ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন শুনানি করছেন। তিনি বলেন, আমরা শুনানি শেষ করার চেষ্টা করবো।

এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ড. ইউনূস তার আইনজীবীসহ আদালতে হাজির হন।

এর আগে এ মামলায় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শ্রম আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।

Advertisement

৬ নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন আদালত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চার আসামির ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন রাখেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম