সম্প্রতি ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে নজরদারি বাড়াতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
Advertisement
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ডব্লিউএইচও এই আহ্বান জানান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের নতুন উপ-ভেরিয়েন্ট এজএন.১এ ও ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের আধিক্য বেড়েছে। এক্ষেত্রে নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি শক্তিশালী করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডাব্লুএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, যদিও করোনাভাইরাসের নতুন এ ভ্যারিয়েন্টের ফলে জনস্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কম তবুও করোনাভাইরাস বিশ্বের সব দেশেই বিকশিত, পরিবর্তন ও সঞ্চালিত হচ্ছে। তাই নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো সম্পর্কে জানতে করোনাভাইরাসের বিবর্তন ট্র্যাক করতে হবে। এজন্য দেশগুলোকে অবশ্যই নজরদারি ও সিকোয়েন্সিং জোরদার করতে হবে ও তথ্য আদান-প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুতই ছড়াচ্ছে জানিয়ে ডব্লিউএইচও জানায়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জেএন.১ একাধিক দেশে শনাক্ত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী এর প্রকোপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডা. ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, যেহেতু মানুষ ছুটির মৌসুমে উৎসবের জন্য বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে এবং জড়ো হয়। এছাড়া ঘরের অভ্যন্তরে অনেক সময় একসঙ্গে কাটায়, যেখানে দুর্বল বায়ুচলাচল শ্বাসযন্ত্রের রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সংক্রমণ সহজ হয়। তাই অবশ্যই প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে ও অসুস্থ হলে সময়মতো ক্লিনিক্যাল যত্ন নিতে হবে।
Advertisement
তিনি করোনাভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছেন, বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা লোকদের জন্য। এই আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, করোনাভাইরাসের নতুনভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, দেশগুলোকে অবশ্যই নজরদারি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রিপোর্টিং জোরদার করতে হবে, যাতে শ্বাসযন্ত্রের রোগ কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায় ও জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষা করা যায়।
এএএম/এমএসএম